জুমবাংলা ডেস্ক : গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ভারত সীমান্তবর্তী শেরপুরের তিনটি উপজেলা। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়েছেন। বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে নারী ও কিশোরসহ ৫ জনের।
বন্যায় ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, সবজির খেত, কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি, গাছগাছালি, গবাদি পশু, বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকটি সড়কসহ অসংখ্য গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। সংকট তৈরি হয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির এবং গো খাদ্যর। জেলা প্রশাসন থেকে শুকনা খাবার এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
আকস্মিক বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান। এতে ঝিনাইগাতি উপজেলা পরিষদ ও সদর বাজারসহ অন্তত ৭টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি ইউনিয়নগুলো ছাড়াও নদী তীরবর্তী অন্যান্য ইউনিয়ন ও নিম্নাঞ্চলের ইউনিয়নগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে। শুক্রবার রাত থেকে পাহাড়ি নদীগুলোতে পানির তীব্রতা কিছুটা কমে এলেও ভাটি অঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। সব মিলিয়ে অন্তত ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয় এ উপজেলার।
এদিকে বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে শুক্রবার থেকেই কাজ করছে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার দিনভর স্পিডবোট, নৌকা, ভেলা, টিউব ইত্যাদি নিয়ে চলে বন্যায় আটকে পরাদের উদ্ধার অভিযান। এ ছাড়া শুকনা খাবারসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বানভাসিদের মাঝে। এসব কাজের অংশ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা বিএনপি, সহ বিভিন্ন সংগঠন।
এদিকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত নিম্নাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে দেখা গেছে। কেউ আত্মীয় বাড়ি,পাকা রাস্তা, আবার কেউ বা ছুটেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যার্তদের শুকনো খাবার ও গো খাদ্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।