জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরে শিশু ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় মো. গোলাপ হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে ৪৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গোলাপ হোসেন জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামের মো. ছাবেদ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, রায়ে গোলাপ হোসেনকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলবে।
এছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গোলাপ হোসেনের স্ত্রী কুলছুম বেগম (৪২), মেয়ে ময়না আক্তার (২০) ও শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগম আনুকে (৫৭) বেকসুর খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলা নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল দুপুরের দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার মধ্য ডেফলাই গ্রামে বাড়ির সামনে খেলা করছিল সাড়ে ১১ বছর বয়সী ভিকটিম শিশুটি। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই শিশুকে খাবার, ভালো পোশাক ও লেখাপড়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে রাজধানী ঢাকার নদ্দা
এলাকায় নিয়ে যায় প্রতিবেশী গোলাপ হোসেন। এক পর্যায়ে শিশুটির পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারে তাকে গোলাপ হোসেন অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে গেছে। পরে ওই শিশুকে বের করে আনতে এলাকাবাসী গোলাপের শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে চাপ দিলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিশুটিকে ঢাকা থেকে আনার ব্যবস্থা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।