জুমবাংলা ডেস্ক: গারো পাহাড়ঘেরা শেরপুর জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যুগে যুগে ভ্রমণ পিপাসুদের মুগ্ধ করে আসছে। সৌন্দর্যে এ লীলাভূমি দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে বড় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এর মাধ্যমে শেরপুরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি অনুদান ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় সাধন করার পাশাপাশি উন্নত অবকাঠামো ও সঠিক পরিকল্পনা দরকার পর্যটনের জন্য।
পর্যটনশিল্পের উপাদান ও ক্ষেত্রগুলো দেশে ও বিদেশে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জেলার পর্যটনশিল্পের অধিকতর বিকাশ ঘটানো সম্ভব। নতুন নতুন কৌশল ঠিক করে সম্ভাবনার সবটুকু কাজে লাগালে এ জেলা পর্যটনের অন্যতম মডেল হতে পারে বলে ধারনা সচেতন মহলের।
স্থানীয় পর্যটন বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বে পর্যটনশিল্প আজ বৃহত্তম শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। পর্যটনশিল্প সম্প্রসারণের উপর দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করে। পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটলে কর্মসংস্থান ঘটবে ও বেকারত্ব দূরীকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হবে। প্রাচীন যুগের ইতিহাস, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রথার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঐতিহাসিক স্থান দেখার জন্যও পর্যটকরা নিজ দেশের সীমানা পেরিয়ে দূর-দূরান্তে ছুটে চলে প্রতিনিয়ত। এ শিল্পের বহুমাত্রিকতার কারণে বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
শেরপুরের পর্যটন স্থান সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মধুটিলা ইকোপার্ক, রাজার পাহাড়, পানিহাটা-তারানি পাহাড়, ব্রহ্মপুত্র নদ, ভোগাই নদী, সুতানাল দিঘি, মাইসাহেবা জামে মসজিদ, গড়জরিপা বারোদুয়ারি মসজিদ, ঘাঘড়া খানবাড়ি জামে মসজিদ, গোপী নাথ ও অন্নপূর্ণা মন্দির, নয়আনি জমিদার বাড়ির রংমহল, পৌনে তিন আনি জমিদার বাড়ি, বারোমারি মিশন ও মরিয়ম নগর গির্জা এবং লোকনাথ মন্দির ও রঘুনাথ জিওর মন্দির।
এ ছাড়া নকলার রুনিগাঁওয়ের অলৌকিক গাজীর দরগাহ, আড়াইআনি জমিদারবাড়ি, কসবা মুঘল মসজিদ, গড়জরিপা কালিদহ গাংয়ের ডিঙি, গড়জরিপা ফোর্ট (১৪৮৬-৯১ খ্রিষ্টাব্দ), জরিপ শাহের মাজার, নয়আনি জমিদারবাড়ি, নয়আনি বাজার নাট মন্দির, নালিতাবাড়ীর বিখ্যাত রাবারড্যাম, পানিহাটা দিগি, মঠ লস্কর বারী মসজিদ (১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দ), নকলার বিবিরচর এলাকার নয়াবাড়ি মুন্সি দাদার মাজার, শাহ কামালের মাজার (১৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ), শের আলী গাজীর মাজারসহ আরও উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থাপনা রয়েছে এ জেলায়।
নকলার নারায়নখোলায় রয়েছে হাজার বয়সী বৃহৎ বটবৃক্ষ। এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা বটবৃক্ষটি দেখার জন্য বেড়াতে আসেন। বটবৃক্ষের হাজারো পাখির কলরবে দর্শনার্থীদের মন কাড়ে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসকের উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল হক বলেন, শেরপুর জেলাকে পর্যটকদের আকর্ষণীয় করার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শেরপুর জেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মহীন মানুষের জন্য বিভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে শেরপুর জেলার ব্র্যান্ডিং হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হয়েছে ‘তুলশীমালার সুগন্ধে, পর্যটকদের আনন্দে’।
শেরপুর জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়ন থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে শেরপুরের আকর্ষণীয় স্থানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।