আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জ করার সময় শেষ দিকে গতি ধীর হয়ে যায়। প্রথম ৮০-৮৫ শতাংশ চার্জ হতে যে সময় লাগে, সে তুলনায় শেষ ১৫-২০ শতাংশ চার্জ হতে সময় অনেক বেশি লাগে। এর প্রধান কারণ, স্মার্টফোনের লিথিয়াম ব্যাটারি। এ ধরনের ব্যাটারি বিদ্যুৎ–সংযোগে চার্জ হওয়ার একটি পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
প্রথম দিকে ব্যাটারিতে চার্জ কম থাকে। ফলে চার্জিংয়ের শুরুতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ভেতর চার্জশূন্য বিভিন্ন সেলে সহজেই স্থান করে নেয়। দ্রুত চার্জিং মানে উচ্চ চাপে বিদ্যুৎ প্রবাহ। ৮০-৮৫ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে পরবর্তী আয়নগুলো ব্যাটারির সেলগুলোতে স্থান খুঁজে নিতে বেশি সময় নেয়।
এই সময় চার্জিত আয়নগুলোর স্থানসংকুলানের জন্য বিশেষ ধরনের ব্যাটারিতে ৫-১০ মিনিট চার্জিং প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে, অথবা চার্জিং ধীরগতিতে চলে। যেমন কোনো ব্যস্ত সড়কের মোড়ে হঠাৎ একসঙ্গে বেশি গাড়ি জমে গেলে সাময়িক যানজট কমিয়ে আনার জন্য কিছুক্ষণ সেই বিশেষ দিকে গাড়ি চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
রাস্তা খালি হলে আবার গাড়ি চলা শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। প্রায় একই ধরনের প্রক্রিয়ায় ব্যাটারি চার্জিংয়ের শেষ দিকে চার্জিত আয়নের স্থান বেছে নিতে একটু বেশি সময় লাগে। তাই শেষ দিকে ব্যাটারি চার্জে বেশি সময় লাগে। অন্যভাবে বলা যায়, ব্যাটারি চার্জ সম্পৃক্ত হতে থাকলে অ্যানোড ও ক্যাথোডের মধ্যে পটেনশিয়াল (ভোল্টেজ) পার্থক্য বাড়তে থাকে।
তাই শেষ দিকে দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য হয় ভোল্টেজ বাড়াতে হবে, নাহয় কম গতিতে চার্জিং হতে থাকবে। ভোল্টেজ বাড়িয়ে চার্জ দিলে ব্যাটারির ক্ষতি হয়। তাই মোবাইল ব্যাটারি চার্জিংয়ের শেষ কয়েক শতাংশ ধীরে চলে। ধরা যাক, আমার স্মার্টফোনের চার্জ যখন ৩০ শতাংশে নেমে গেছে, তখন চার্জারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিলাম।
আধা ঘণ্টার মধ্যে হয়তো ব্যাটারির চার্জ ৯৫ শতাংশ হয়ে গেল। কিন্তু অবশিষ্ট ৫ শতাংশ চার্জ হতে হয়তো আরও ১৫-২০ মিনিট লাগবে। ব্যাটারি চার্জ পরিপূর্ণ হয়ে গেলে আর চার্জ দেওয়া উচিত নয়। সারা রাত মোবাইল চার্জে রাখলে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।