জুমবাংলা ডেস্ক : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের কোন কোন উপাদান শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এই সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩-এর ১৬ ধারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অন্যান্য কোম্পানির শেয়ার ধারণের সর্বোচ্চ সীমার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। তবে বিনিয়োগের কোন কোন উপাদান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজার বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় তা স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে মোট বিনিয়োগের হিসাবায়নের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত উপাদানসমূহ অন্তর্ভুক্ত হবে-
ক. আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধারণকৃত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং শেয়ারবাজারের অন্যান্য নিদর্শনপত্রের বাজার মূল্য বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা কোম্পানিসমূহকে প্রদত্ত ইকুয়িটি, দীর্ঘমেয়াদি ইকুয়িটি বিনিয়োগ/ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরী (বিডি) লিঃ ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর শেয়ার ঐ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজার বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না।
খ. শেয়ারবাজারে কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত অপর কোনো কোম্পানি বা কোম্পানিগুলোর অথবা কোনো স্টক ডিলারকে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি ও তাদের সাথে রক্ষিত তহবিলের স্থিতি (প্লেসমেন্ট বা অন্য যে নামেই অভিহিত করা হউক না কেন) বিনিয়োগসীমার বাইরে থাকবে।
গ, শেয়ারবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত অপর কোনো কোম্পানি বা কোম্পানিসমূহকে অথবা কোনো স্টক ডিলারকে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি এবং তাদের সাথে রক্ষিত তহবিলের স্থিতি (প্লেসমেন্ট বা অন্য যে নামেই অভিহিত করা হউক না কেন);
ঘ. শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোনো তহবিলের প্রদত্ত চাঁদাও বিনিয়োগসীমার বাইরে থাকবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী প্রতি ত্রৈমাস শেষ হবার পর পরবর্তী মাসের ০৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে সংযুক্ত ছক মোতাবেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে দাখিল করতে হবে।
ভালো খবর বলেছেন ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য এটি বেশ একটি ভালো খবর। এর ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বেশ বড় ছাড় দেয়া হয়েছে। তারা এখন শেয়ারবাজারে সরাসরি আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে।
শাকিল রিজভী বলেন, ‘গত সাত বছর ধরেই আমরা এই দাবিটি করে আসছিলাম। দেরিতে হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই দাবিটি মেনেছে। তাই আমরা খুশি।’
কেন খুশি, তার কারণ তুলে ধরে শাকিল রিজভী বলেন, ‘ধরুন, সিটি ব্যাংকের পুঁজিবাজারে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগসীমা আছে। আবার এই ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি সিটি ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকেও এর বিনিয়োগ আছে। এই বিনিয়োগ এখন সেই ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে পড়বে না। সেই ৩০০ কোটি টাকা কেবল শেয়ারবাজারে সরাসরি বিনিয়োগ করবে তারা।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে অবশ্য এই দিকগুলো ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব মেনেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে শেয়ারবাজারে প্রতিষ্ঠানগুলোর সরাসরি বিনিয়োগের সুবিধা বাড়ল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার:
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।