জুমবাংলা ডেস্ক: হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতায় কাবু জনজীবন। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো পঞ্চগড় জেলা। সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে দুর্বিষহ নেমে এসেছে। পৌষের ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা।
তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাত যত গভীর হয়; ততই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মত কুয়াশা ঝড়ছে।
বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন। সূর্যের মুখ দেখা নেই। ঘন কুয়াশার আর ঠাণ্ডা বাতাসে মানুষের সঙ্গে কাবু হয়েছে পশুপাখিরাও।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি।
সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। সূর্য উঠলেই ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়। তবে ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়ে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝলমলে কুয়াশা মিশ্রিত রোদ উঠলেও উত্তাপ ছড়ায় না। এতে শীতের পোশাক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। ভর দুপুরেও শীতের পোশাক মুড়িয়ে চলাফেরা করতে হয় পঞ্চগড়ে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের দিকে শীতের তীব্রতা বেশি।
কনকনে ঠান্ডায় শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা কাবু হয়ে পড়েছেন। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। সেই সাথে বেড়েছে শীত জনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। শীত বস্ত্রের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে অসহায় দুস্থ মানুষেরা। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ায় ঠান্ডার তীব্রতা অনেক বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।