আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের বৈরুতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে। কয়েকদফা বিস্ফোরণে আহত হয়েছে অন্তত ৪ হাজার মানুষ। এ ঘটনায় বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত মেহিদী ও মিরাজ নামে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননজুড়ে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি বৈঠকে বসেছেন দেশটির উচ্ছপদস্থ কর্মকর্তারা। বৈঠক থেকে ২ সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন।
একটি গুদামে সংরক্ষিত ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার, যারা পাঁচদিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেন জমা দেবে।
চার হাজারের বেশি লোক আহত ও শতাধিক নিহত হওয়া বিস্ফোরণে শহরজুড়ে শুধু ধ্বংসের চিহ্ন। এমনকি রক্ষা পায়নি প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো কেন বন্দরের ওই ওয়্যারহাউজে রাখা হয়েছিল তা লেবানিজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কাস্টমস বিভাগের পরিচালকের উদ্ধৃত দিয়ে লেবাননের সংবাদমাধ্যম মায়াদিন বলেছে, প্রায় তিন হাজার টন অ্যামোনিয়া নাইট্রেট বিস্ফোরিত হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান আব্বাস ইব্রাহিম বলেছেন, আফ্রিকায় চালান দেওয়ার জন্য বৈরুত বন্দরে রাখা হয়েছিল ২ হাজার সাতশ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। লেবাননের উচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদের সভা শেষে এ মন্তব্য করেন ইব্রাহিম।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। ছয় বছর ধরে একটি গুদামে কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংরক্ষিত করা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেছেন তিনি। দায়ীদের ‘কঠোর শাস্তির’ মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্র প্রধান এবং দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।