জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামীর বাড়ি আজোপাড়া গায়ে আর মনের মতো মেলেনি সংসার। স্বপ্নের রাজপুত্র আর রাজ্য না হওয়ায় স্বামীর সংসারে যেতে অস্বীকৃতি জানায় কিশোরী নববধূ। পরিবারের নানা চাপ ও মানসিক নির্যাতনে স্বামীর বাড়িতে যেতে বাধ্য করা হন তিনি। এক পর্যায়ে এসব চাপ ও মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করায় আত্মহ ত্যা করেন সুমি রাণী (১৯) নামে ওই নববধূ।
গত শনিবার গভীর রাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শিবরাম (বাবুর দীঘিরপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নববধূ ওই গ্রামের ভুপেন্দ্রনাথ বর্ম্মণের মেয়ে। তবে এলাকাবাসী বলছে, অনেকটা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনেই ওই নববধূ আত্মহ ত্যা করেছেন।
জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ুয়ারহাট এলাকার বিনয় বর্ম্মণের ছেলে সুজনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সুমির। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ি পছন্দ না হওয়ায় সেখানে যেতে রাজি হননি তিনি। পরিবারের চাপে অনেকটা বাধ্য হয়েই স্বামীর বাড়ি যেতে হয় সুমিকে। শনিবার সকালে কয়েক দিন স্বামীর বাড়িতে থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন সুমি। বাড়িতে পৌঁছে স্বামীর বাড়ি অপছন্দের কথা জানালে পরিবারের সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। ওই দিন গভীর রাতে অভিমানে আত্মহ ত্যা করেন সুমি।
তবে বিষয়টি প্রথমে হার্টঅ্যাটাক বলে এলাকায় প্রচার চালায় পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ ত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃ ত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, আত্মহ ত্যার বিষয়টি সত্য। তবে তার শরীরে কোনো নির্যাতনের চিহ্ন নেই। তদন্তপূর্বক নিহতের লা শ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।