খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল ঘুরে আসেন। তবে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মালামাল উদ্ধার বা কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি পুলিশ। ডাকাতির বিষয়ে কোনো মামলার প্রস্তুতির গ্রহন করেনি পুলিশ।
ডাকাতির শিকার আবদুর রহমান জানান, কালিগঞ্জে কাজ শেষ করে সাড়ে আটটার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য এ সড়কে আসছিলাম। পরে পোশাইদ বনের ভিতরে আসতেই সড়কে গজারি গাছ ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করে ডাকাতরা। এ সময় এ পথে আসা বিভিন্ন যানবাহন আটকে চালকসহ যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নগদটাকা লুট করে ডাকাতরা। পরে সবাইকে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে বনের ভিতরে ফেলে রাখে। তিনি বলেন, এ সময় অন্তত ৪০ জনকে বেঁধে রাখে বনের ভিতরে।
তিনি আরো জানান, তার কাছে থাকা ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় ডাকাতরা। তিনি বলেন এ সময় কাজল নামের একজনের ৪০ হাজার টাকাও নিয়ে নেয়।
ট্রাক চালক মো. শরীফ মিয়া জানান,( ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৭৬৯০) পাশের শিমুলতলী একটি ফিডমিলে যাচ্ছিলাম। পরে পোশাইদ যাওয়ার পর সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতরা গতি রোধ করে। এ সময় আমাদের কাছে থাকা প্রায় তিন লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে বনের ভিতরে আমাদের বেঁধে রাখে ডাকাতরা। এ সময় আরো বেশ কিছু মোটরসাইকেল আরোহীকে বেঁধে তাঁদের মুল্যবান জিনিসপত্রসহ নগট টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ডাকাতেরা। তিনি বলেন ১৫/১৬ জনের ডাকাতদল ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি করে। তাদের কয়েকজন মুখোশধারী ছিল। সবার হাতেই দেশি অস্ত্রসস্ত্র ছিল।
স্থানীয়রা জানান, রাতের এক সময় ডাকাতির বিষয়টি টের পেলে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে ঘটনাস্থল যাওয়ার আগেই ডাকাতরা সটকে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজনকে বনের ভিতর থেকে দড়ি বাঁধা অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেল ও ট্রাকও আটক করছিল ডাকাতরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ জানান, সকালে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানিয়দের সাথে কথা বলে ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন সন্ধ্যা রাতে এমন ডাকাতিতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সময় বেশ কয়জনকে পিটিয়ে আহত করে ডাকাতরা। এ সময় নগদ টাকা মোবাইল ফোন লুট করে নেয় ডাকাতদল।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন ডাকাতির কথা অস্বীকার করে বলেন, এমন একটি খবর পেয়ে রাতেই টহল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।