আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কী হবে শ্রীলঙ্কার পরিণতি, কে হবেন প্রেসিডেন্ট? এই নিয়ে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবনে জনতার অদ্ভুত কার্যকলাপ চলছেই। কেমন অনুভূতি হয় প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসলে, সেটাই পরীক্ষা করে দেখছেন লঙ্কানরা। রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার জন্য রীতিমত লাইন ধরছেন তারা।
সিংহাসনে বসার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। একজনের পর একজন সিংহাসনে বসছেন আর ক্যামেরাবন্দি করছেন সেই মুহূর্ত।
এদিকে, বুধবার সকালে প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগের পর থেকে শ্রীলঙ্কার বিক্ষুব্ধ জনতা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। বিবিসির খবর বলছে, বিকেলে নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের অফিস দখল করে নিয়েছে বিক্ষুব্ধ মানুষ। গত শনিবার বিক্ষুব্ধ জনতা প্রেসিডেন্টের বাসভবনেরও দখল নিয়েছে।
অফিস দখলের পর বিক্রমসিংহে একটি টেলিভিশন বার্তা দিয়েছেন, সেখানে তিনি সেনাবাহিনীকে আদেশ দিয়েছেন, শৃঙ্খলা ফেরাতে যা দরকার তাই যেন করা হয়। বিক্ষোভকারীদেরও তিনি অফিস ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে বলেছেন।
এদিকে রাজাপাকসের দেশত্যাগের পর দেশটির পার্লামেন্ট স্পিকার জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি রনিলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। এমন অবস্থায় রাজধানী কলম্বো ও আশপাশের এলাকায় চলছে কারফিউ। তবু রাষ্ট্রব্যবস্থাপনা সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার-হাজার ক্ষুব্ধ লঙ্কান, ঘেরাও করেছেন পার্লামেন্ট ভবন এলাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।