নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবিধান দিবস উপলক্ষে ৪০ টাকা মূল্যমানের একটি স্যুভেনির শিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে ডাক অধিদফতর।
আজ বুধবার (৪ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম বুধবার ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম এবং ডাটাকার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে।
৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।
সংবিধান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিবৃতিও দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বে অন্যতম সেরা সংবিধান। তিনি বলেন, একটি দেশ রক্তাক্ত যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করার পর ধ্বংসস্তূপে বাস করে যে এত দ্রুত একটি সংবিধান দিতে পারে, বঙ্গবন্ধু সেই অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
‘গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্রকে (সংবিধানের) মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে বাংলা ভাষারাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে প্রতিস্থাপিত করে গেছেন। এই সংবিধানই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্রের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করেছে।’
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর সংবিধান বিলটি গণপরিষদে উপস্থাপিত হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপরিষদে নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান নিয়ে আলোচনা করেন। গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত। এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।