জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুর রব (৪৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। মস্তকবিহীন আব্দুর রবের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন একই পরিবারের তিনজন।
তেঁতুলিয়ার তীরইহাট ইউনিয়নের যোগীগাছ গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মানিক (৪৮), তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪৫) এবং ছেলে আমান (২১) এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হাছান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় ও ডিবি পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ৩৪ দিনের মধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশেষ তৎপরতায় মূল রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ব্যবসায়ী আব্দুর রব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বুধবার (২০ নভেম্বর) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুল হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় ব্যবসায়ী মো. মানিক, তার স্ত্রী আফরোজা বেগম এবং ছেলে আমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে মানিক জানান, ব্যবসায়িক লেনদেন এবং স্ত্রীর প্রতি কুদৃষ্টি দেয়ায় আব্দুর রবকে হত্যা করেন মানিক। এর আগে কুদৃষ্টি দেয়ায় আব্দুর রবকে বাড়িতে আনতে স্বামীকে নিষেধ করেন স্ত্রী আফরোজা। রবের সঙ্গে মানিকের আর্থিক লেনদেনও ছিল। তবে ব্যবসায়িক কারণে গত ১৭ অক্টোবর মানিকের ব্যাংক হিসাবে ৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা জমা দেন রব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।