জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন এবং সচিবালয়ের আশপাশে সব ধরনের গণজমায়েত ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এমন সিদ্ধান্ত আসার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার রাতে সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে গণজমায়েত ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়।
এমন নির্দেশনার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করে অন্তর্বর্তী সরকারকে খোঁচা দিয়ে ক্যাপশন দেন তাতে।
সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ জয় সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, ‘সচিবালয় এলাকার আশপাশে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক সমালোচনা করেছেন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা। এরপরও দুই সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনকে সেসব এলাকায় সব সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। দায়িত্বে না থেকে সমালোচনা করা সহজ। আর ক্ষমতায় থাকা ও শাসন করা একদমই ভিন্ন ব্যাপার।’
উল্লেখ্য, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রোববার সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আবারও আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় ৩৮৮ আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।