জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। তবে এর ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশই ব্যয় হবে সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের পরিবারের পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদহারে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম বাবদ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা করা হয়েছে। এ বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যা ছিল ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ ও ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও এক্ষেত্রে ১১৫টি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ও তাদের পরিবারের পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা, যা মোট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দের ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ মোট বরাদ্দের ৫ ভাগের ১ ভাগ এ খাতে ব্যয় করা হবে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। এ দুই খাতেই ব্যয় হবে মোট ৩৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশের বেশি। ব্যাংক ঋণের সুদহারের তুলনায় জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বেশি সুদ দেওয়া হয়। সুদহারের একটি অংশ সরকার প্রিমিয়াম হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তার বরাদ্দ থেকে দেয়।
সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দ থেকে কৃষি ভর্তুকির জন্য রাখা হয়েছে ২১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সরকার পরিচালিত বিভিন্ন তহবিল এবং সাইক্লোন শেলটার নির্মাণসহ ছোটখাটো অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে। এসএমই খাতের জন্য সুদ ভর্তুকি রয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছর পেনশন ছাড়াও বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতাসহ ৯টি কর্মসূচিতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা নগদ হিসাবে দেবে সরকার। এছাড়া খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমসংক্রান্ত ১১ কর্মসূচিতে ১৬ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা, উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় ৪ হাজার ৫৬৪ কোটি, নগদ/উপকরণ হস্তান্তর বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় (সঞ্চয়পত্রের সুদব্যয় বাদে) ২৮ হাজার ৫০০ কোটি, বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা বাবদ ৭০৯ কোটি, বিবিধ তহবিল ও কার্যক্রমে ১০ হাজার ৪৭০ কোটি, উন্নয়ন কার্যক্রমে ১০ হাজার ৫২৩ কোটি এবং ঋণসহায়তা কার্যক্রমে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছর বয়স্ক ভাতা ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের ভাতা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীদের দৈনিক ভাতার হার দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।