জুমবাংলা ডেস্ক : সৌভিক করিমের মৃত্যুর ৪ মাসপূর্তিতে চিত্র প্রদর্শনী ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরের ৭ নভেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে দুর্ঘটনাস্থলে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের আয়োজনে বিকেলে চিত্র প্রদর্শনী ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
এই কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আল আমিন রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুসরাত হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব ফেডারেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সহসভাপতি তুহিন ফরাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আহমেদ শাকিল, রাজনৈতিক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. ইয়াসিন খান বৃষ্টিসহ নেতারা।
বাচ্চু ভূইয়া বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোডে গ্রিন কোজি বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় অর্ধশত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। ঘটনা ঘটার পরে আমরা জানতে পারছি ফায়ার সার্ভিস ভবন কতৃপক্ষকে তিনবার চিঠি দিয়েছে কিন্তু ভবন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন দুর্ঘটনা ঘটার পর তারা সক্রিয় হয়েছেন। খুব হম্বি তম্বি করছেন। কিন্তু এগুলা লোক দেখানো। এর আগেও ঢাকায় অনেকগুলো অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সেগুলার কোনোটার বিচার হয়নি। এই সরকার জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবে না। তাই তাদের কানে যদি কথা ঢুকাতে হয়; আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। সংগঠিত হতে হবে।
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, গত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মধ্যে আমাদের অনেক সহযোদ্ধা বন্ধুরাও রয়েছেন। বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের এই অবৈধ শাসনামলে তারা যে উন্নয়নের ভেলকিবাজি আমাদের শোনানা তার বড় অংশজুড়ে রয়েছে বড় বড় ব্রিজ, সড়ক-মহাসড়ক। কিন্তু এই সড়কে যে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছেন, আমরা আমাদের প্রিয়জন হারাচ্ছি তা বন্ধে তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেন না। ২০১৮ সালে কিশোররা যখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল তখন তাদের ওপর কী মধ্যযুগীয় কায়দায় নিপীড়ন চালানো হয়েছে তা আপনারা সকলেই জানেন। নিপীড়ন যতই আসুক আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তার জন্যই রাস্তায় দাঁড়াতে হবে; লড়াই করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আল আমিন রহমান বলেন, সড়কে দুর্ঘটনায় আমরা দেখি একতরফাভাবে শুধু চালক বা হেলপারকেই দায়ী করা হয়। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা, তাদের টিপভিত্তিক মজুরি আর ফিটনেসবিহীন যানবাহনই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার জন্য দায়ী। সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে তাই কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।