জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলার দৌলতখান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সততা স্টোরটি (বিক্রেতাবিহীন দোকান) দুটি বড় দোকানে পরিণত হয়েছে।
সেখানে বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গা নষ্ট করে সততা স্টোরের নামে করা হয়েছে দুইটি দোকান। দোকান দুটি মাসিক ১৫০০ টাকা করে স্কুলের দুই পিয়নের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বরাদ্দ পাওয়া পিয়নরা পরিবারের লোক দিয়ে এগুলো পরিচালনা করে থাকেন। যার কারণে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন অভিভাবকরা।
দোকান দুটির নাম সততা স্টোর হলেও সততা স্টোরের নিয়ম অনুযায়ী এতে নেই কোনো শিক্ষা উপকরণ ও মূল্য তালিকা।
সেখানে বিক্রি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাবার, যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে দোকান দুটিতে ঝালমুড়ি, চটপটি ও ফুচকাসহ নানা ধরনের খাবার বিক্রি করা হয়ে থাকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, স্টোর থাকবে স্কুল কম্পাউন্ডের ভেতরে। বিদ্যালয়ের যে কোনো উপযুক্ত একটি কক্ষে এই দোকান হবে। এখানে খাতা, কলম, পেনসিল, ইরেজার, স্কেল, জ্যামিতি বক্স, রং পেনসিলসহ শিক্ষা উপকরণ, চকোলেট, চিপস, বিস্কুটসহ হালকা খাবার সামগ্রী রাখা হবে। বাজার মূল্যে বিক্রি হবে ওই সব সামগ্রী। দোকানের প্রাথমিক অর্থায়ন করবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে সততা স্টোরে বিনিয়োগ করবে।
এসব নীতিমালার কোনোটিরই বালাই নেই দৌলতখান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সততা স্টোরে।
সততা স্টোর-১ এর বিক্রেতা ও বিদ্যালয়ের পিয়ন মো. আবদুর রহমান জানান, তারা নিজের টাকায় এ দোকানগুলো নির্মাণ করেছেন এবং দোকানের মালামালও কিনেছেন নিজের টাকায়। তবে সেসব সময় করেন না। তারা ছোট ভাই ও বাবা এ দোকান পরিচালনা করেন। সে মাঝে মধ্যে এসে দেখাশোনা করেন।
সততা স্টোর-২ এর বিক্রেতা আকতার হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দোকান দুইটি ভাড়া ১৫০০ টাকা করে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবে ভাড়া পরিশোধ করেন বিদ্যালয়ের আয়া ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুন। সে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিকুল আলম জানান, এ দোকান আমি বরাদ্দ দেইনি। যখন দোকানগুলো করা হয়েছে তখন আমি ছিলাম না। আমি পরে যোগদান করছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে এটি ঠিক হয়নি। শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৌলতখান ইউএনও ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জীতেন্দ্র নাথ বলেন, আমি বিষয়টি খবর নিচ্ছি। যদি নীতিমালা বহির্ভূত কোনো কাজ করে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।