বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। ১৭তম নির্বাচনে আপিল বোর্ডের রায়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। ৩৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার নারী সেক্রেটারি পেলেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চিত্রনায়িকা নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন। এদিকে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এফডিসির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিদায়ী সভাপতি মিশা সওদাগর।
দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বিভিন্ন পদে নির্বাচিত অন্য সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সমিতির কার্যালয়ে কাঞ্চন-নিপুণকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন মিশা সওদাগর। এরপর তারা নির্ধারিত আসন গ্রহণ করেন এবং হাস্যোজ্বল মুখে ক্যামেরাবন্দি হন।
তবে এই নির্বাচনের শুরু হওয়া থেকে শুরু করে তাদের শপথ গ্রহণ পর্যন্ত ছিল সিনেমার গল্পেরই মতো। সেই গল্পে ছিল ১৮৪ জন শিল্পী। যারা বিক্ষোভ করেছিলেন নির্বাচনী প্রচারণায়। মিশা সওদাগর সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক থাক অবস্থায় এসব শিল্পীদের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। যে কারণে তাদের এফডিসিতেও প্রবেশেও বাধায় পড়তে হয়।
বিরাট কোহলির এক পোস্টে ইনকাম পৌনে ৬ কোটি টাকা
সদস্যপদ বাতিল হওয়া সেই ১৮৪ জন শিল্পীদের নিয়ে কি ভাবছেন নিপুণ?
এই প্রশ্নের উত্তরে নিপুণ বলেন, ‘এখন তো আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা আগে থেকেই চেয়েছি তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক, কিন্তু আগের কমিটি সেটা করেনি। আদালত থেকে ১০৩ জনের ব্যাপারে ইতিবাচক রায় এসেছে। এখন তো আর কোনো সমস্যা নেই। কারণ, শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সবার সম্মতিতে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ আছে। আমরা সেই কাজ করব। কারণ, আমি সব সময়ই নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের জন্য কাজ করেছি। সুতরাং, এখানেও আমি ফেল করব না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচিত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের জয়ী হওয়া নিয়ে শুরু থেকেই জলঘোলা হচ্ছিল। নির্বাচনের পর থেকেই কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ অভিযোগ করে আসছে টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন জায়েদ খান। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ ফলাফল নিয়ে আপিল বোর্ডের কাছে অভিযোগ করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নিপুণের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয় আপিল বোর্ডকে। সেই প্রেক্ষিতে আপিল বোর্ড শনিবার রায় ঘোষণা করে। এই জয়ে এফডিসিতে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। চলচ্চিত্রের নানা সংগঠনের নেতাকর্মী ও সদস্যরা নিপুণকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।