আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। বিপরীতে ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ৮,৫০,০০০। ১৯৫৯-১৯৬১ সালের দুর্ভিক্ষের পর এই প্রথম জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে চীনের। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়ে বিপদে পড়েছে অনেক দেশ। সেসব দেশ আবার বিভিন্নভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ যেমন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের কাছাকাছি। কারও ক্ষেত্রে আবার জনসংখ্যার হার ঋণাত্মক। এই অবস্থায় দেশগুলো দম্পতিদের সন্তান গ্রহণে উৎসাহিত করতে নিচ্ছে নানা উদ্যোগ।
সর্বশেষ দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার পরিকল্পনা করেছে, তারা দেশটির দম্পতিগুলোকে সন্তান লালন-পালনের ভর্তুকি হিসেবে ১০ কোটি ওন দেবে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার সমান। দেশটির বর্তমান জন্মহার ০.৭৮, যা সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সিভিল রাইটস কমিশন গত এপ্রিল মাসে একটি জরিপ চালিয়েছে—কেন দম্পতিরা সন্তান নিচ্ছেন না। সেই জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তারা এই ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া জরিপটিতে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ নাগরিকদের মতামতও নেওয়া হয়েছে।
সেই জরিপের ভিত্তিতে সিভিল রাইটস কমিশন বার্ষিক ২৩ লাখ কোটি ওন বা ২৬ মিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে। এই অর্থ দেশটির নিম্ন জন্মহার রোধের জন্য বরাদ্দ বাজেটের প্রায় অর্ধেক এবং এর পুরোটাই দেওয়া হবে প্রণোদনা বা ভর্তুকি হিসেবে।
কমিশনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জরিপের মাধ্যমে আমরা (জন্মহার বৃদ্ধিতে) সরাসরি আর্থিক ভর্তুকি কার্যকর সমাধান হতে পারে কি না, তা নির্ধারণ করতে দেশের জন্ম প্রচার নীতিগুলো পুনর্মূল্যায়নের পরিকল্পনা করেছি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘নিম্ন জন্মহার এখন আর কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য একচেটিয়া সমস্যা নয়। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাধানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে থাকা ০.৭৮ শতাংশ জন্মহার ২০২৩ সালে আরও কমে ০.৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে জন্মহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জবাবে যা জানাল ইসরায়েল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।