জুমবাংলা ডেস্ক: কুমিল্লায় কোচিংয়ে পড়ানোর নামে সপ্তম শ্রেণীর এক কিশোরীকে ধর্ষণের এক বছর পর তারেকুর রহমান নামের এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ভিকটিমের বাবা। সামাজিক মীমাংসায় বিয়ের আশ্বাসে এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্ত্রী ও নবজাতক সন্তানের মর্যাদা পায়নি ওই পুত্র সন্তানের জননী। ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর। তবে আদালত থেকে আদেশ জারি হলে আইনী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকোরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে পড়ানোর নামে ধর্ষণ করে তারেক নামে কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষক। প্রথম দিনের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রেখে ভয় দেখি পরে বহুবার ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে।
এরই মধ্যে মেয়েটি গর্ভধারণ করলে জানাজানি হয় পরিবারে। সামাজিক মিমাংসায় বিয়ের নামে এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্ত্রীর মর্যাদা পায়নি ওই কিশোরী। নবজাতক পুত্র সন্তানের দেখাশোনাও করতে আসে না অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।
ভিকটিমের বাবা-মা অভিযোগ করে জানান, মান সম্মান হারানো এবং স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীদের ভয়ে গত এক বছর ধরে চলে মিমাংসার নামে বিয়ের আশ্বাস। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর মেয়েটি স্ত্রীর মর্যাদা না পাওয়ায় আমরা বিচারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। তারা টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাইলেও, আমরা চেয়েছি ন্যায়বিচার।
এই ঘটনা জানাজানির পর অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিচারের দাবীতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম আলকোরা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার শাস্তি দাবী করেন এবং এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও আরো এ ধরনের অপরাধের তথ্য আছে বলে জানান।
আদালত থেকে মামলার আদেশ পৌঁছায়নি পুলিশের কাছে। আদেশ পাওয়ার পরই এই ঘটনায় যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
গত ৪ অক্টোবর কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে কোচিংয়ের শিক্ষক তারেকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিমের পিতা। তারেক বাদে অন্য অভিযুক্তরা সালিশের নামে ভিকটিমের পরিবারকে হয়রানি করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।