সন্তান লালন-পালনে চিন্তিত? বিজ্ঞানী দেখালেন আদর্শ পথ
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ইন্টারনেট, পরিবার, প্রতিবেশী বা সন্তানের শিক্ষক- সবাই আপনাকে অভিভাবকত্বের পরামর্শ দেবে। এসব মানুষের কথা শুনে বাবা-মায়ের ওপর চাপ পড়াটা স্বাভাবিক। কখনও কখনও আপনার মনে হতে পারে বাচ্চার জন্য আপনি যা করে চলেছেন, তা হয়তো সঠিক নয়। বাচ্চাকে মানুষ করতে হলে কোনটা সঠিক পদ্ধতি আর কোনটি বা ভুল এ নিয়ে তীব্র দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়তে হয় বাবা-মায়েদের।
একটা শিশুকে লালন-পালন করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তা বলে খুব বেশি চাপ দেয়ার দরকার নেই। সম্প্রতি ডোরসা আমির নামে উন্নয়নমূলক বিজ্ঞানীও এই নিয়ে টুইটারে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ডোরসা আমির একজন মাও বটে। তিনি কিছু পরামর্শ শেয়ার করেছেন যেগুলো মেনে চললে সন্তান মানুষ করতে হলে কম চাপে থাকবেন আপনিও। ডোরসা জানিয়েছেন, কীভাবে শিশুরা আমাদের সংস্কৃতি থেকে বেড়ে ওঠে এবং তা থেকে কী কী শিক্ষা নেয়।
সবকিছু থেকে শেখার প্রয়োজন নেই
ডোরসা লিখেছেন, শিশুদের খেলাধুলা এবং বিনোদনে দোষের কিছু নেই। তবে এর থেকে সন্তান যে অনেক কিছুই শিখে যাবে তেমনটা কিন্তু নয়। শিশুরা তাদের নিজের ইচ্ছায় যা করে তা থেকেও অনেক কিছু শেখে। তাই আপনাকে তাদের শেখার ওপর সব সময় মনোযোগ দেয়ার দরকার নেই।
বিরক্ত হতে দিন
শিশুদেরও বিরক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়া উচিত। এটি মানুষের অভিজ্ঞতার একটি অংশ। শিশুরা যদি বিরক্ত হয় তবে দোষের কিছু নেই। আপনার বাচ্চাকে সব সময় বিনোদনমূলক ব্যবস্থা নাও করতে পারে। শিশুকে তার নিজের চিন্তা করার এবং তার পছন্দের কাজটি খুঁজে বের করার সুযোগ দিন।
নিজেকে সমস্যার সমাধান করতে দিন
আপনি কি সেই ধরনের অভিভাবক যিনি সবসময় সন্তানকে সব রকমের দ্বন্দ্ব বা ঝামেলা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন? স্কুল বাস হোক বা খেলার মাঠ, আপনি সর্বত্র তাকে রক্ষা করে চলেছেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়। ডোরসা বলেছেন, একজন অভিভাবক হিসেবে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন সন্তানকে। ডোরসা জানিয়েছেন, যে আপনার সন্তানকে সামাজিক পার্থক্যের মুখোমুখি হতে দেয়া উচিত।
খেলার সময় বাচ্চারা তাদের সতীর্থদের সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই, বরং এটি একটি ভালো জিনিস। বাচ্চারা যদি পারে তাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান করুক। ডোরসার মত, নেতিবাচক আবেগ খারাপ নয়, বরং এ আবেগ আপনার সন্তানকে শক্তিশালী করবে এবং কীভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হয় তাও শেখাবে।
শিশু থেকে দূরে থাকুন
অনেক বাবা-মায়ের পৃথিবী কেবলমাত্র তাদের সন্তানকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। বাবা-মা হওয়ার পরে তারা তাদের সন্তানের মতো করে জীবন পরিবর্তন করে। আপনাকে প্রতিবার এবং সর্বদা আপনার সন্তানের জন্য আপনার পছন্দটি ত্যাগ করতে হবে, এমন কোনও কারণ নেই কিন্তু।
রিলিজ হলো সবচেয়ে বোল্ড ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।