বাজারে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বড় দুঃসংবাদ। মাছের দাম বেড়েই চলেছে। দরিদ্র মানুষের জন্য ইলিশ এবং চিংড়ি খাওয়া রীতিমতো অসম্ভব। প্রায় সব ধরনের মাছের দাম 50 টাকা করে বেড়েছে। পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে যোগান নেই। তাছাড়া তেলের বাজারে সিন্ডিকেটের দাপট আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দাম বাড়তেও পারে। সয়াবিন তেলের সরবরাহ পুনরায় কমতে শুরু করেছে। তবে শীতকালীন সবজির দাম ভালো পর্যায়ে রয়েছে।
আপনি ব্রয়লার মুরগি ক্রয় করতে চাইলে ২১০ টাকা খরচ করতে হবে। সোনালি মুরগির ক্ষেত্রে এটি হবে ৩৪০ টাকা। মাছের বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। ইলিশ ও চিংড়ির দাম অস্বাভাবিকভাবেই বেশি। ১ কেজি ইলিশ কিনতে চাইলে আড়াই হাজার টাকা খরচ করতে হবে। চাষের রুই-কাতলার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। অতিরিক্ত পরিবহন খরচের জন্য এই অবস্থা।
সব ধরনের আলুর দাম কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে চায়না আদার দামও। মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, নতুন লাল আলু ২৫ টাকায়। নতুন বগুড়ার আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আজ দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্যতেলের সংকট তৈরি হয়েছে মুদি দোকানে। সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। সিন্ডিকেট করে সংকট তৈরি করা হচ্ছে-এমন অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের।
শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় রাজধানীতে এখন অনেকটাই স্থিতিশীল এই বাজার। বেশিরভাগ সবজি মিলছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঢেড়স, পটলের জন্য দিতে হবে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।