এরকম কথা প্রচলিত রয়েছে যে, সমুদ্র যার আধিপত্য বিশ্ব তারই নিয়ন্ত্রণে। আধুনিক যুদ্ধে বিমানবাহী রণতরীর গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। আন্তর্জাতিক জলসীমা ব্যবহার করে শত্রুর অনেক নিকটে চলে যাওয়া সম্ভব রণতরী ব্যবহার করার মাধ্যমে।
প্রতিটি রনতরীতে ফ্লাইট ডেক থাকে যেখান থেকে বিমান আকাশে উড়ে থাকে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা জায়গা থাকে। নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর, অ্যামুনেশন ফ্যাসিলিটি সহ আরো অনেক ফিচার রয়েছে বিমানবাহীর রণতরীতে।
কয়েক হাজার সৈনিকের বেঁচে থাকা এবং জীবন যাপনের সকল উপাদান এখানে পাওয়া সম্ভব। রণতরীর ছোট রানওয়ে ব্যবহার করে এয়ারক্রাফ্ট অবিশ্বাস্য গতি অর্জন করে এবং কোন ঝুঁকি বাদেই আকাশে উড়তে পারে।
আবার দ্রুতগতির এয়ারক্রাফট ল্যান্ডিং করার সময় হুক ব্যবহার করা হয় যেনো তা রণতরীর পরিসীমা শেষ হওয়ার আগেই থেমে যেতে পারে। অনেক সময় ফ্লাইট এর সামনের অংশ বাঁকানো থাকে। এতে করে বিমানের আকাশে ওরা এবং ল্যান্ডিং বেশি সহজ হয়।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র ১৪টি দেশের হাতে এসব এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে মোট ৪০টি রণতরীর অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরীরও অস্তিত্ব রয়েছে।
এসব রণতরী একটানা ২০ বছর রিয়েক্টর পরিবর্তন না করে চলাচল করতে পারে এবং কোন জ্বালানীর দরকার হয় না। ইতিহাস বলে যে, সর্বপ্রথম বিমানবাহী রণতরীর ব্যবহার শুরু হয় ১৯১১ সালে। বিমানবাহী রণতরীর ইতিহাস ১০০ বছরের বেশি পুরনো। ১৯১৪ সালে জার্মান নৌবহরের উপর জাপানের রণতরী থেকে হামলা চালানো হয়েছিল। আধুনিক যুদ্ধ কৌশলে রণতরীর গুরুত্ব বেড়েই চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।