আপনাকে যদি বলা হয় সমুদ্রের পানির নিচে একটানা ১০০ দিন থাকার জন্য, তাহলে হয়তো কখনো রাজি হবেন না। কিন্তু এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন ডক্টর জোসেফ ডিটুরি। পানির উপরিভাগে পৃথিবীতে একজন মানুষ যা যা করে তার অনেক কিছুই তিনি সমুদ্রের পানির নিচে করেছেন।
নিয়মিত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা, ঘুমানো এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ সবই সমুদ্রের পানির নিচে করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে তিনি নাভাল অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। সমুদ্রের প্রতি এ মানুষটির অনেক টান রয়েছে। তিনি বুঝতে চেয়েছিলেন যে, লম্বা সময় ধরে পানের নিচে বাস করলে অনুভূতি কেমন হয়। তিনি তার লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি সফল হয়েছেন।
সবথেকে মজার ব্যাপার হলো পানির নিচে থাকার সময় অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন এবং নিয়মিত ক্লাস নিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, পরিকল্পনার মাধ্যমে সামনে এগুলে পানির নিচে বাস করা অসম্ভব কিছু নয় এবং এতে খারাপ অনুভূতির সৃষ্টি হবে না।
তার ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার সহজ হয়ে গিয়েছিল কারণ মেরিন রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছিল। তবে পানির নিচে সাবমেরিনে বাস করা এবং ডক্টর ডিটুরির এ পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ডিটুরির পানির নিচে থাকার প্রজেক্টরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রোজেক্ট নেপচুন ১০০’। এর আগে ২০১৪ সালে দুইজন ব্যক্তি একটানা ৭৩ দিন পানির নিচে থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাদের ওই রেকর্ড ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য তাকে ৭৪ দিন পর্যন্ত থাকতেই হতো । কিন্তু তিনি একটা ১০০ দিন পর্যন্ত থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন । ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তিনি এ প্রজেক্টের বাস্তবায়ন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।