আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমুদ্রের পানি থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি করতে চলেছে মাদ্রাজ আইআইটি। ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে একাধিকবার পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। বিখ্যাত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রের পানি থেকে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে। তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন সৈকত থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রটি বসানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক আবদুস সামাদের নেতৃত্বেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছিল। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামুদ্রিক ঢেউয়ের কার্যকারিতা নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। সমুদ্রের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য একটি দল গঠন করেন তিনি। প্রাথমিকভাবে কিছু যন্ত্র তৈরি করে পরীক্ষা চালাতে থাকেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে বড় মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করে ফেলেন তিনি।
সিন্ধুজা-আই নামের একটি যন্ত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে। নৌকার মতো দেখতে এই যন্ত্রটিতেও হাল আর বৈঠা আছে। তার মধ্যে রাখা হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্র। ঢেউ আসলে এই নৌকাটিও ওঠা নামা করবে। সেই সময়ে বৈঠাটি পানি কাটানোর চেষ্টা করবে। এই পরিস্থিতিতে পানির যে গতি আর চাপ তৈরি হবে, সেই চাপকে কাজে লাগাবে নৌকার ভিতরের বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রটি। এইভাবে বিদ্যুৎ তৈরি হয়ে তা কাজে লাগানো যাবে।
কিন্তু সমুদ্রের পানি থেকেই বিদ্যুৎ তৈরির ভাবনা কেন? সামাদ জানাচ্ছেন, প্রায় সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত রয়েছে ভারতে। সেখান থেকে প্রতি বছরে ৫৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। দেশের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটিয়ে ফেলা যেতে পারে সমুদ্রের ঢেউ থেকে। তাছাড়া পরিবেশবান্ধব উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার বিভিন্ন রাস্তা বের করতে চাইছে ভারত। সেখানেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি। সূত্র: টাইমস নাউ।
ভারত-তুরস্ক-মিশর পারলে বাংলাদেশ নয় কেন? জাপানি গবেষকের প্রশ্ন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।