আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্পর্কে তারা দুইজন বোন। তবে কেউই জানতেন না সেকথা। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার সূত্র ধরে ৬০ বছর পর মুখোমুখি হয়েছেন তারা। দুই বোনের একজনের নাম জুলি ম্যামো। তার বয়স ৬৬ বছর। বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ৬৪ বছর বয়সী অন্য বোনের নাম জুলি অ্যানসেল। বর্তমানে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যের কেন্টে বসবাস করছেন। খবর দ্য ইনডিপেনডেন্টের।
জানা গেছে, ম্যামো-অ্যানসেলের মা লিলিয়ান ফিশার ১৯৫৬ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের ডোভারে ম্যামোর জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান জন্ম দেওয়ায় ম্যামোকে মাত্র ৯ দিন বয়সে দত্তক দিয়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। কিছুদিন পরই ম্যামোকে দত্তক নেয়া পরিবারটি চলে যায় অস্ট্রেলিয়ায়।
পরবর্তী জীবনে আরো চার সন্তানের জন্ম দেন লিলিয়ান। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় জুলি অ্যানসেলের বয়স যখন ১২ বছর, তখন তার মা লিলিয়ান মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি অ্যানসেলকে বলে যান যে-তার আরো এক বোন আছে, যাকে জন্মের পরপরই দত্তক দেওয়া হয়েছিল।
গণমাধ্যমকে অ্যানসেল জানান, সেই বয়সে মায়ের কথা তিনি ঠিকমতো বুঝতেই পারেননি। বছরের পর বছর কেটে গেলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি কখনোই আর ভাবেননি।
এ অবস্থায় দুই বোনের হয়তো আর কখনোই দেখা হতো না, যদি না অ্যানসেলের পরিবারের একজন নিজেদের জাতিগত পরিচয় জানতে উদ্যোগী হতেন। এই উদ্দেশে গত বছর একটি ডিএনএ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়-জুলি অ্যানসেলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা জুলি ম্যামো নামে এক নারীর ডিএনএ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মিলে গেছে।
এ অবস্থায় ম্যামোর পরিচয় জানতে একটি মিশন শুরু করে অ্যানসেলের পরিবার। তারা ফেসবুকে ম্যামোর মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় দুই বোন তাদের অতীত যোগসূত্রের কথা একসময় জেনে যান।
বিষয়টি তাদের এতটাই বিস্মিত করে যে, কয়েক দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় থাকা অন্য বোনের সঙ্গে দেখা করতে বিমানে চেপে বসেন অ্যানসেল। পরে ম্যামোকে নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে ফেরেন।
চলতি মাসেই আবারো অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন ম্যামো। তবে দুই বোনই আশা করছেন—আগামী বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়ে আবার দেখা হবে তাদের। বর্তমানে তারা আরেকটি ডিএনএ পরীক্ষায় অংশ নেবেন এটা দেখতে যে-তাদের বাবা একজনই ছিলেন কি-না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।