আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মূলত ভূমধ্যসাগরের জলসীমা নিয়েই তুরস্ক-গ্রীসের বিরোধের শুরু। এরপর আজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ নিয়েও হয় দুপক্ষের মতবিরোধ। অনেক দিনের বিরোধ মীমাংসায় বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেয় ইইউ ও ন্যাটো। কিন্তু কিছুতেই গলছিলো না সম্পর্কের বরফ।
এবার নিজেরাই সেই বরফ গলাতে উদ্যোগ নিলো। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এথেন্স সফর করেন। সেখানে গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের সাথে বৈঠকে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে একমত হন দুই নেতা। খবর আল জাজিরার।
এরদোগান জানান, নিশ্চিত করে বলতে চাই– গ্রীস ও তুরস্কের মাঝে এমন কোনো সমস্যা নেই, যার সমাধান সম্ভব নয়। জলসীমাসহ আমাদের মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে, তা সমাধান করতে সমানভাবে কাজ করবে দু’দেশ। সারা বিশ্বের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে গ্রীস ও তুরস্ক।
বৈঠকে যোগাযোগ উন্মুক্ত রাখার পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মত হয় দু’দেশ। আলোচনা হয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার বিষয়েও।
বিরোধপূর্ণ আজিয়ান দ্বীপপুঞ্জে তুর্কি নাগরিকদের ভ্রমণে ইইউর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সুপারিশ করে গ্রিস। তুর্কি নাগরিকদের জন্য পুনরায় চালু করা হয় ট্যুরিস্ট ভিসা। গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস বলেন, প্রকৃতি আমাদেরকে পাশাপাশি রেখেছে। আমাদের উচিত প্রকৃতির সে সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো। নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। তবে সেগুলো ভুলে আমরা একসাথে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে থাকতে চাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রেখে যেতে চাই।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকেই দুই দেশের দূরত্ব কমতে থাকে। প্রতিবেশী গ্রীস সহায়তার হাত বাড়ায়। এরপর থেকেই সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয় দুই দেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।