জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আশা প্রকাশ করেছেন যে, রপ্তানিমূখী পোশাক শিল্প মালিকরা সময়োপযোগী পরিবর্তনকে ধারণ করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আজ মজবুত ভিত্তিরর উপর দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য আধুনিক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। তাই আশা করি- রপ্তানিমূখী পোশাক শিল্প মালিকরা সময়োপযোগী পরিবর্তনকে ধারণ করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তাকিারক সমিতির (বিজিএমইএ) নতুন রূপকল্প উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিজিএমইএ’র নতুন লোগো উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি মিরান আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড সময়ে পোশাকখাতে যেভাবে প্রণোদনা দিয়েছেন, বিরূপ পরিস্থিতিতেও দেশকে স্বাভাবিক রেখেছেন, তা পোশাকখাতের বিকাশে সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। পোশাক রপ্তানি থেকে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার আয় এই ধারাবাহিক উন্নতির সুফল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পীকার বলেন, বিজিএমইএর ৪০ বছরের সফল পথচলার কারনেই পোশাকখাতে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে ২য় অবস্থানে আছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ সময়কালে এ ধরণের অর্জন দেশকে গৌরবান্বিত করে। আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য তিনি সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক শিল্প কারখানার মালিকরা আগামী ২০৩০ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সেলক্ষ্যে তারা পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারণের কাজ করছে।
তিনি বলেন, সদ্যসমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশকা রপ্তানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি অর্জন করতে পারাটা অনেক বড় অর্জন। তিনি আরও বলেন, শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পণ্য বহুমূখীকরণ,বাজার বহুমূখীকরণ,ফাইবার বহুমূখীকরণ,দক্ষতা উন্নয়ন, ইনোভেশন ও টেকনোলজি আপগ্রেডেশনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে সাধারণ পোশাকের পাশাপাশি উচ্চ মূল্যের বা ব্যতিক্রমী পোশাক তৈরিতে কারখানার মালিকদের নিয়মিত উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।