বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলকে জিপিএফ বলা হয়। পাশাপাশি প্রদেহ ভবিষ্যৎ তহবিলকে সিপিএফ বলা হয়। এখানে টাকা জমা রাখলে তার বিপরীতে মুনাফার হার 11 থেকে 13 শতাংশ করা হয়েছে। সে হিসেবে দুই শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় তার অর্থ বিভাগ থেকে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বর্তমান অর্থ বছরের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর থাকবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিপিএফভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এক নয়। যেমনটা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনে দেখা যায়। তবে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মুনাফার হার নির্ধারণ করার সুযোগ রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মুনাফা মিলবে ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি টাকা জমা রাখার বিপরীতে ১১ শতাংশ মুনাফা মিলবে।
জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে সরকারি কর্মচারীরা একসময় ১৩–১৪ শতাংশ সুদ পেতেন। এই হারকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কমিয়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছর এ হার অব্যাহত ছিল। বুধবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে একই সুদহার বহাল রাখা হয়। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদও এত বেশি নয়—সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে টাকা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ সুদের হার না কমিয়ে জিপিএফে টাকা রাখার সীমা কমিয়ে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।