জুমবাংলা ডেস্ক: সঞ্চয়পত্রে ভবিষ্য তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগে সীমা আরোপ করল সরকার। এখন থেকে এ ধরনের তহবিলের সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে। এর আগে সঞ্চয়পত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে কোনো সীমা ছিল না। যে কোনো অঙ্কের বিনিয়োগ করা যেত।
গতকাল সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। তবে ভবিষ্য তহবিলের অর্থ এখন থেকে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রেও বিনিয়োগ করা যাবে। প্রজ্ঞাপনে সঞ্চয়পত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে কয়েকটি শর্ত দিয়ে সীমা আরোপ করার পাশাপাশি নতুন ধরনের সুবিধাও দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে যেসব ভবিষ্য তহবিল থেকে অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হবে সেগুলো আয়কর কমিশনার কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে। থাকবে হবে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংরক্ষণ বিষয়ে সরকারি গেজেট থাকতে হবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো ফার্মের আয়, অটিস্টিক সহায়ক প্রতিষ্ঠান, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান (অনাথ আশ্রম, শিশু পরিবার ও এতিম খানা), প্রবীণদের জন্য নিবন্ধিত আশ্রয়কেন্দ্রের অর্থের বিনিয়োগেও সীমা আরোপ করা হয়েছে। এখন থেকে উপকর কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত ফার্মের আয় থেকে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে। আর অটিস্টিক সহায়ক প্রতিষ্ঠান, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান, প্রবীণদের জন্য নিবন্ধিত আশ্রয়কেন্দ্র পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে। এসব প্রতিষ্ঠানকে জেলা সমাজসেবা অফিস থেকে নিবন্ধিত হতে হবে। থাকতে হবে টিআইএন। আর বিনিয়োগ করা অর্থের মুনাফা অটিস্টিক, দুস্থ ও অনাথ, এতিম ও প্রবীণদের সহায়তার কাজে ব্যবহূত হতে হবে। এতদিন এসব প্রতিষ্ঠান তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারত। এখন থেকে ওই সঞ্চয়পত্রের পাশাপাশি পাঁচ বছরমেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, সঞ্চয়পত্রের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূতভাবে সুবিধা নিচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে এনজিওসহ যাদের বিনিয়োগের সুযোগ নেই, তারাও বিনিয়োগ করছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্র কেনে। এ জন্য আগেই প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়পত্র কেনার কার্যক্রম সঞ্চয় অধিদপ্তরে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আর এখন ভবিষ্য তহবিলসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে সীমা আরোপ করা হলো। এতে সরকারকে সুদ বাবদ অহেতুক ব্যয় করতে হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।