যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দেশে উদযাপিত হবে সশস্ত্র বাহিনী দিবস। ফজরের নামাজ শেষে দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দেওয়া শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়েই দিনটির কার্যক্রম শুরু হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আইএসপিআর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরবর্তীকালে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে নিজ কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরবর্তীতে বাহিনী প্রধানরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ সময়ে তিনি ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীর মাঝে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীরা (প্রতিরক্ষা, জাতীয় সংহতি, নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক), তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও, প্রতিরক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ২১ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, বিচারপতি, সচিব, বাহিনীর সাবেক প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, সব বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারী, খেতাবপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের উত্তরাধিকারী, বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনাসদস্যদের পরিবার, স্বাধীনতা পুরস্কার–একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে।
ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, কক্সবাজার, বগুড়া, সিলেট, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও খুলনা সেনানিবাস/ঘাঁটিতে সংশ্লিষ্ট এরিয়া সদর দপ্তরের উদ্যোগে সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে ঢাকার বাইরে অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ ও বিমান ঘাঁটিতেও দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর বিশেষভাবে সজ্জিত জাহাজ ২১ নভেম্বর দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিকটস্থ ঘাটে নোঙর করে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বাংলাদেশ টেলিভিশন ‘বিশেষ অনির্বাণ’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ বেতার ‘বিশেষ দুর্বার’ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। টিভির জন্য নির্মিত ‘বিশেষ অনির্বাণ’ অনুষ্ঠানটি পরবর্তীতে বেসরকারি চ্যানেলগুলোতে পর্যায়ক্রমে প্রচারিত হবে।
এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে এবং সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



