বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : একটি উড়ো ফোন। ওপারে মহিলার গলা। কোমল কণ্ঠে তিন লাখ টাকার ঋণে ভরতুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আর সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ১৪ লক্ষ টাকার বেশি খোয়ালেন এক ব্যক্তি। প্রতারিত ব্যক্তির নাম জয়ন্ত গুড়িয়া। ভারতের হলদিয়ার বাসিন্দা তিনি। প্রতারিত হয়েছেন, বুঝতে পেরেই হলদিয়ার সাইবার থানার দ্বারস্থ হন তিনি। তদন্তে নেমেছে হলদিয়া সাইবার ক্রাইম থানা।
হলদিয়ার দুর্গাচক থানার অন্তর্গত বিরিঞ্চিবেড়া এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত গুড়িয়া। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর জয়ন্তবাবুর কাছে এক মহিলার একটি উড়ো ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে একটি বেসরকারি ফিনান্স কোম্পানির নাম করে তিন লাখ টাকা ঋণে ভরতুকির অফার দেওয়া হয়। আর সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ঘটে যত বিপত্তি।
প্রতারকদের কথা মতো নিজের আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ যাবতীয় তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মারফত পাঠিয়ে দেন জয়ন্তবাবু। এর পর শুরু হয় প্রতারণার জাল বোনা। অভিযোগ, লোনের প্রসেসিং চার্জ, ইনশিওরেন্স প্রিমিয়াম, ট্রানজেকশন চার্জ, ক্লিয়ারেন্স ফি-সহ নানা অজুহাতে ধাপে ধাপে জয়ন্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
কিন্তু তার পরেও লোনের টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা না পড়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন জয়ন্তবাবু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে জেলা সাইবার থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) নিখিল আগরওয়াল জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এ ধরনের সাইবার প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। তাতে জনসাধারণকে আরও বেশি করে সতর্ক হতে হবে। খবর সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।