স্পোর্টস ডেস্ক: পিছিয়ে পড়েও মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়ে শিরোপা স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে লিভারপুল।
মাত্র তিনদিন আগে এফএ কাপের ফাইনালে চেলসির কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ হবার পর জার্গেন ক্লপের দল কাল আর কোন ভুল করেনি। যদিও খর্ব শক্তির দল নিয়ে কাল সেন্ট মেরিসে খেলতে নেমেছিল লিভারপুল। চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের থেকে ৯টি পরিবর্তন করে কাল মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন ক্লপ। অনেকটাই রিজার্ভ দল নিয়ে সাউদাম্পটনকে মোকাবেলা করেছে অল রেডরা। এই সুযোগে নাথান রেডমন্ডের ৭ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাকুমি মিনামিনো ও জোয়েল মাটিপ কোন অঘটন হতে দেয়নি। এই জয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির থেকে লিভারপুল মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। দুই দলের হাতেই আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে।
রোববার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এ্যাস্টন ভিলাকে হারাতে পারলেই পাঁচ বছরে চতুর্থ শিরোপা নিশ্চিত হবে সিটিজেনদের। ক্লপ অবশ্য স্বীকার করেছেন ভিলার বিপক্ষে সিটি পয়েন্ট হারাবে এটা তিনি প্রত্যাশা করেননা। সিটি যদি জিততে ব্যর্থ হয় তবে এ্যানফিল্ডে শেষ ম্যাচে উল্ফসকে হারাতে পারলেও লিভারপুলের তিন মৌসুমে দ্বিতীয় লিগ শিরোপা নিশ্চিত হবে। এ সম্পর্কে ক্লপ বলেন, ‘অবশ্যই বিষয়টি অপ্রত্যাশিত। সিটি ঘরের মাঠে এ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে খেলবে। তবে সব কিছুই সম্ভব। আমরাও ঘরের মাঠে মৌসুমের শেষ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। পরিবেশ আমাদের অনুকুলেই থাকবে। আমরা এই সুযোগটি পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। অবশ্যই সবই সম্ভব। ফুটবল অনিশ্চয়তা খেলা। শিরোপার স্বপ্ন ধরে রাখতে হলে আজকের রাতে জয় ভিন্ন অন্য কোন পথ আমাদের সামনে খোলা ছিলনা। আমরা আমাদের কাজটুকু সেড়েছি। কখনই আমরা ম্যাচ ছেড়ে দেইনি।’
উল্ফসের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবে লিভারপুল। আর সেই ম্যাচকে সামনে রেখেই কাল বিশ্রামে ছিলেন সাদিও মানে, লুইস দিয়াজ, এ্যান্ড্রু রবার্টহন, থিয়াগো আলচানতারা ও ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড। তবে ওয়েম্বলির ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ায় দলের বাইরে ছিলেন মোহাম্মদ সালাহ ও ভার্জিল ফন ডিক। ক্লপ বলেন, ‘আমি এই ধরনের গ্রুপ কখনই পাইনি। তারা একে অপরকে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। দিনশেষে তাদের এই প্রচেষ্টার ফল আমরা পাই। আজকেও তার ব্যতিক্রম ছিলনা। আজ আমি এমন খেলোয়াড়দের মাঠের বাইরে রেখেছিলাম যাদের হয়ত শনিবার পুরো ১২০ মিনিট থাকতে হয়েছিল। আজ সফল না হলে এই দায় দায়িত্ব শতভাগ আমাকেই নিতে হতো। এখন ছেলেরা এই সিদ্ধান্তে গর্বিত হতেই পারে।’
সিটি বস পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন তিনি টিভিতে সাউদাম্পটন বনাম লিভারপুলের ম্যাচটি দেখবেন। সাউদাম্পটন যাতে জয়ী হতে পারে সেই আশাও তিনি করেছেন। রোববার ওয়েস্ট হ্যামের সাথে ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে সিটিজেনরা। যে কারনে লিভারপুলের সামনে সুযোগ এসেছে শিরোপার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার। ২০১৯ সালেও লিভারপুলের সামনে সুযোগ এসেছিল লিগের শেষদিনে উল্ফসকে পরাজিত করে শিরোপা জেতার। সেটা তারা করেছিল ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিটির হাতে উঠে চ্যাম্পিয়নশীপ ট্রফি। লিগ শিরোপা লড়াইয়ের পর আগামী ২৮ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মোকাবেলা করবে লিভারপুল।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে রেডমন্ডের বামদিকের একটি জোড়ালো শট জেমস মিলনারের সাথে ডিফ্লেকটেড হয়ে জালে প্রবেশ করলে এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন। শিরোপা স্বপ্ন যখন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছিল ঠিক তখনই ঘুড়ে দাঁড়ায় ক্লপের শিষ্যরা। ২৭ মিনিটে জাপানীজ ফরোয়ার্ড মিনামোনি দারুন এক গোলে সমতা ফেরান। জো গোমেজের পাস থেকে জোতা বল পেয়ে এগিয়ে দেন মিনামিনোর কাছে। পোস্টে খুব কাছে থেকে সাউদাম্পটন গোলরক্ষক এ্যালেক্স ম্যাককার্থিকে পরাস্ত করেন মিনামিনো। ৬৭ মিনিটে টিসিমকাসের কর্নার থেকে বল পেয়ে লুপ শটে ম্যাককার্থিকে বোকান বানান মাটিপ। এই গোলেই লিভারপুলের স্বস্তির জয় নিশ্চিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।