সাকার ফিশ হচ্ছে এমন এক মাছ যা আপনি একুরিয়ামের মধ্যে ব্যবহার করতে দেখে থাকবেন। তবে এটি জলের বাস্তুতন্ত্রের জন্য হুমকার কারণে বাংলাদেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেকে এটাকে রাক্ষুসে সাকার ফিশ হিসেবেও চিনে থাকেন।
একুরিয়ামের কাচেঁর ময়লা এবং শ্যাওলা পরিষ্কার করার জন্য এই মাছ আসলে বিদেশ থেকে দেশে আনা হয়েছিল। জলজ পোকামাকড় এবং ছোট মাছ এদের পছন্দের খাবার।
অবাক করে দেয়ার মত তথ্য হচ্ছে পানির সংস্পর্শ না পেলেও এই মাছ ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সাকার মাছ পরবর্তী সময়ে খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করেছে। কেননা যেহেতু মানুষ এ মাছ খায় না কাজেই তাদের সংখ্যাও কমে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
গবেষণা থেকে জানা যায় যে, এটি মাছের ডিম এবং রেনু খেয়ে ফেলার কারণে অন্য মাছের বংশ বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এটি যে কোন পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধিতে সাকার ফিশ একটি হুমকি হতে পারতো।
বিশ্বের অনেক জায়গায় শাখার ফিশ খাওয়া হলেও বাংলাদেশ এটির তেমন প্রচলন নেই। এটির চেহারা যেমন বিদঘুটে তেমনি মাথার এবং দেহের আবরণও বেশ শক্ত।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ মাছের দেহে ক্ষতিকর ভারী পদার্থের উপস্থিতিও রয়েছে। এর ফলে এ মাছ খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাদে এ মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিও বয়ে আনতে পারে। বর্তমানে মাছটি একুরিয়ামে লালন-পালন করা, পরিবহন করা এমনকি সংরক্ষণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।