জুমবাংলা ডেস্ক : অষ্টম শ্রেণির অপহৃত কিশোরীর (১৪) ভারতীয় জেলহাজতে ১ বছর ৩ মাস ১৫ দিন সাজা ভোগের পর লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। অবৈধভাবে সীমান্ত পার ও পাসপোর্ট আইনে ভারতীয় পুলিশের মামলায় জেলহাজতবাস খাটতে হয় ওই কিশোরীকে।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে বাড়ি থেকে বের হয়ে বড়খাতা পাইকারটারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের গিরিনের পুত্র প্রদীপ চন্দ্র ও তার ৬ সহযোগী ওই কিশোরীকে অপহরণ করে চোরাই পথে ভারতে নিয়ে পাচার করে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কিশোরীকে রেখে অপহরণকারীরা সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসে। এ সময় শিলিগুড়ির পায়েল সিনেমা হলের কাছ পুলিশ কিশোরীকে আটক করে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার ও পাসপোর্ট আইনে মামলা দেয়। মামলায় কুচবিহার আদালত সেফ হোমে পাঠায়। সেখানে ১ বছর ৩ মাস ১৫ দিন সাজা ভোগ শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ওই কিশোরীকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ। এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘কিশোরীকে পাটগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’
পাটগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘অপহরণের ঘটনার পর পরই ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী হাতীবান্ধা থানায় কিশোরীর পরিবার অপহরণের মামলা করে। আসামীরা জামিনে রয়েছে। কিশোরীকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কিশোরী বা আসামীদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


