জুমবাংলা ডেস্ক : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে দুটি আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। গোলাগুলির ঘটনায় সাজেক ইউনিয়নের শিয়ালদহলুই মৌজায় এক শিশু গুলিতে আহত হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিয়ালদহলুই মৌজার গন্ডাছড়া-মালেংপাড়া মধ্যকার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুলিতে আহত শিশুর নাম রোমিও ত্রিপুরা (৭)। সে শিয়ালদহলুই মৌজার প্রবেন ত্রিপুরার ছেলে। পেটে গুলি লাগায় আহত অবস্থায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সাজেকের কংলাকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে ঘটনাস্থলটি প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা হওয়ায় বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, দুপুরে সাজেক ইউনিয়নের গন্ডাছড়া-মালেংপাড়া মধ্যকার এলাকায় পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র দুটি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় আঞ্চলিক দল দুটির কারও বক্তব্য জানা যায়নি।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘দুপুরের দিকে আঞ্চলিক দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে সাত বছরের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জেনেছি। তবে কোন কোন দলের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে এবং হতাহতের খবর জানা যায়নি।’
শিয়ালদহলুই মৌজার কার্বারি ভুজন ত্রিপুরা বলেন, ‘শিশুটির পেটে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে সাজেক থানার ওসি আবুল হাসান খানের দুটি অফিসিয়াল ফোন নম্বরে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর এখনো পাইনি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত দুই মাসে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে গুলিতে ইউপিডিএফের আট নেতাকর্মী নিহত ও একজন আহত হন। খাগড়াছড়ির পৃথক দুই খুনের ঘটনায় প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফকে (গণতান্ত্রিক) দায়ী করলেও সাজেকের খুনের ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির দিকে আঙুল তুলেছে। অবশ্য দুটি আঞ্চলিক দলই নিজেদের বিরুদ্ধে আনা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সাজেকে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে স্থানীয় এক শিশু আহতের খবর এলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।