জুমবাংলা ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে চাহিদা মোতাবেক ভোজ্য তেল, চিনি, মশুর ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর, চাল ও গমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমদানি নির্ভর পণ্যগুলো আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার সুবিধার্থে নির্দিষ্ট পরিমান ডলার রাখার জন্য ব্যবসায়ীগণ প্রস্তাব দিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী চিনির উপর আরোপিত ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহের দাবি জানিয়েছেন। দেশের মানুষের সুবিধার জন্য বিষয়গুলো নিয়ে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমরা প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে যে সকল পণ্য আমদানি করে থাকি সেগুলো পূর্বে না জানিয়ে হঠাৎ করে রপ্তানি বন্ধ না করার বিষয়ে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে ভারত সরকার। সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, আগামী দিনগুলোতে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন পণ্যের সংকট হবে না, মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাজার অভিযান জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী রমজান শুরুর আগে একসঙ্গে বেশি পরিমান পণ্য ক্রয় করার কোন প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (৪ জানুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির ৫ম সভায় উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও স্বাভাবিক মূল্য নিশ্চি করতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। যাতে ন্যায়সংগত মূল্য নিশ্চিত করা যায়। সরকার সার্বিক বিষয়ে অবগত আছে, নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য আমদানিতে এলসি খোলাসহ সবধরনের সহযোগিতা সরকার প্রদান করবে। সকল ব্যাবসায়ীকে সততার সাথে সঠিক ব্যবসা করতে হবে।
এসময় বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ(টিসিবি) এর চেয়ারম্যান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের খন্দকার নাজমূল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন) মো. আব্দুল হক, এফবিসিসিআই’র প্রথম সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, কনজিউমার্স এ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ(ক্যাব) এর প্রতিনিধি কাজী মো. আব্দুল হান্নান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, টি কে গ্রুপের পরিচালক মো. সফিক আলম তসলিম উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।