মিয়ামি ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ডোরোনি তাদের “ব্যক্তিগত” ফ্লাইং মেশিনের জন্য প্রি-অর্ডার গ্রহণ করছে। তারা সম্প্রতি উইসকনসিনে EAA AirVenture ইভেন্টে তাদের H1 বিমানের ককপিট প্রদর্শন করেছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ব্যবহার করে, তারা অংশগ্রহণকারীদের জন্য টেকঅফ, ফ্লাইট এবং অবতরণ অভিজ্ঞতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ডোরোনি দাবি করেন যে, ডিভাইসটির ককপিট ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন ২০ ঘন্টার ফ্লাইট প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্লাইং মেশিনটি চালানো সম্ভব হয়।
অন্যান্য বৈদ্যুতিক ভার্টিকাল টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং (eVTOL) নির্মাতাদের থেকে এটি ভিন্ন। যারা শহরের অভ্যন্তরীণ পরিবহণের জন্য এয়ার ট্যাক্সি তৈরিতে মনোযোগ দেয়, ডোরোনি প্রতিষ্ঠান জেটসন ধারণার মতো ব্যক্তিগত পাইলটদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। তারা একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং নিরাপদ ফ্লাইং অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ বিমান চালনাকে “গণতন্ত্রীকরণ” করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
একটি হেলিকপ্টার বা প্রচলিত বিমানের চেয়ে সহজে উড়তে পারে এমন একটি বিমান তৈরি করার লক্ষ্য রাখে ডোরোনি। সিইও ডোরন মের্ডিঞ্জারের মতে, স্ট্যান্ডার্ড গাড়ির চালকের লাইসেন্স এবং 20-ঘন্টার প্রশিক্ষণ কোর্স সহ যে কেউ H1 কপ্টার পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
H1 হলো একটি দুই-সিটের উড়ন্ত গাড়ি, 500 পাউন্ডের পেলোড ক্ষমতা রয়েছে ও পাখা দিয়ে সজ্জিত ডানার দুটি সেট রয়েছে। H1 এর একটি অনন্য দিক হল ল্যান্ডিং প্যাডের পরিবর্তে এটি চাকার উপর অবতরণ করতে পারে। এ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ সুবিধাজনক করে তোলে। এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন ডিভাইসটিকে রাতারাতি চার্জ করা যায়।
এটির মসৃণ ফুসেলেজ কার্ভ ও বড় সাইজের ফ্যান রয়েছে। H1 এর প্রত্যাশিত পরিসর হল ৬০ মাইল, এবং এটি ১৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টার সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছতে পারে। মার্ডিঞ্জার জানিয়েছে যে, ব্যাটারিটি প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে ২০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ করা যেতে পারে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, H1 এ প্যারাসুট যোগ করা হবে। কোম্পানি ২০২৪ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে H1 এর ডেলিভারি শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।