আমাদের দেশে বর্ষাকালে ও গ্রীষ্মের দিকেও বেশ বৃষ্টিপাত হয়। আকাশের অবস্থা অবশ্য সে কথা বলে না। ঝাঁ চকচকে রোদ দেখে রাস্তায় নামার পর দেখবেন, বলা নেই কওয়া নেই, আকাশ কালো করে নেমে গেল তুমুল বৃষ্টি। এমন অবস্থায় সবসময় ছাতা সঙ্গে থাকে না। বৃষ্টির ফোঁটা আঘাত করে শরীরে। প্রশ্ন হলো, বৃষ্টির এসব ফোঁটা কত বেগে পড়ে ভূপৃষ্ঠে?
বৃষ্টির ফোঁটার বেগ নির্ভর করে মূলত এর আকারের ওপর। মেঘের মধ্যে পানির কণাগুলোর আকার মোটামুটি ২০ মাইক্রনের মতো। অভিকর্ষের টানে এসব কণা প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। কিন্তু বায়ু প্রবাহের কারণে সঙ্গে সঙ্গেই আবার উঠে যায় ওপরে।
এতে এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি হয়। আবার মেঘের ঘনত্ব আসলে বাতাসের চেয়ে অনেক কম। এই দুই কারণে মেঘ ভেসে থাকে আকাশে। মেঘের তাপমাত্রা কমে গেলে পানির কণাগুলো বড় হতে থাকে। ঘনত্বও বাড়ে। একসময় ঝরে বৃষ্টি হয়ে। যত দ্রুত তাপমাত্রা কমে, তত বড় হয় বৃষ্টির ফোঁটা।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সময় পানির ফোঁটাগুলোর আকার হয় প্রায় ২ মিলিমিটারের মতো। এ ফোঁটাগুলো প্রতি সেকেন্ডে ৬ দশমিক ৫ মিটার বেগে ঝরে পড়ে ভূপৃষ্ঠে। আর বৃষ্টির বড় ফোঁটাগুলো প্রায় ৫ মিলিমিটার ব্যাসের হয়। এগুলোর বেগ হয় সেকেন্ডে প্রায় ৮ দশমিক ৯ কিলোমিটারের মতো। অবশ্য বাতাসের কারণে এ বেগের পরিবর্তন হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।