জুমবাংলা ডেস্ক: গলব্লাডার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আনোয়ার মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ রাজধানীর গ্রীনরোডের ল্যাবএইড ক্যানসার হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর ।
নুরুল আনোয়ার স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আনোয়ার ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার সর্বশেষ মহকুমা পুলিশ প্রশাসক ছিলেন। তাছাড়া তিনি চুয়াডাঙ্গা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, রাঙামাটিসহ ৫টি জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের প্রথম উপকমিশনার ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯০ সালে পাকুন্দিয়াতে কথিত পীর মতিউরের সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সন্ত্রাসী জঙ্গী দমনের নেতৃত্ব দেন। নুরুল আনোয়ার মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ভক্ত হওয়ার কারণে ২০০৩ সালে ডিআইজি পদোন্নতির মাত্র একদিন আগে তৎকালীন বিএনপি সরকার তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করে।
পরবর্তীতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরি ফিরে পেয়ে ডিআইজি পদে পদোন্নতি হন। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে পিআরএল থাকা অবস্থায় নুরুল আনোয়ারকে পরবর্তীতে পুলিশের আইজিপি পদে পদোন্নতি দেন।
অবসরকালে তিনি দৈনিক কালের কন্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকার একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। পত্রিকার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে নিয়মিত টক শো’তে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি একজন লেখক ছিলেন। সমাজ, প্রশাসন ও ইতিহাস বিষয়ে তাঁর লেখা অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়।
তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জনাব আবু হেনা মোরশেদ জামানের মামা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এই আইজিপির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা’র নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। তারা মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছেন।
‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এ দেশে মানবাধিকার বলে কিছু ছিল না’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।