মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক লাভলু আহমেদকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুল আলীম খান মনোয়ার, সদর ইউনিয়নের তামিম (২২) সোহাগ শেখ (২১) ফুলচাঁন (২৩) ও রনি মিয়া (২২)।
নিহত লাভলু মিয়া ঘিওরের কুস্তা এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি ২০০৩ সালে ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ জানান,গত সোমবার দুপুরে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘিওর সদর ও কুস্তা এলাকার বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংর্ঘের ঘটনা ঘটে এবং সংঘর্ষে উভয় এলাকার বেশ কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু আহমেদ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আহতের দেখতে গেলে বিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে লাভলুকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে লাভলুর মৃত্যু হয়।
এরপর বুধবার দুপুরে নিহতের ভাই টিপু সুলতান বাদি হয়ে ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুল আলীম খান মনোয়ারকে প্রধান আসামী করে ঘিওর থানায় মামলা করেন। এছাড়াও মামলায় বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত ২০জনকে আসামী করা হয়েছে।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব জানান,মামলার অভিযান চালিয়ে ঘিওর থানা পুলিশ ৩জন ও গোয়েন্দা পুলিশ ১জনকে গ্রেফতার করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া মামলার বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা বলছে বলেও ইমতিয়াজ মাহবুব জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু আহমেদকে হত্যার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে সড়কে আগুন জালিয়ে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধা হরতাল পালন করেন এলাকাবাসী। এছাড়া লাভলু আহমেদের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় বিএনপির একটি কিার্যালয়সহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুপ্ত এলাকাবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।