তাকী জোবায়ের : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১তম গভর্নর হিসেবে ফজলে কবিরের দায়িত্ব গ্রহণের দিনটি ছিল দেশের আর্থিক খাতের বিভিষীকাময় যাত্রার শুরু। দেশের ১৮ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার রক্ষকের দায়িত্বে এসে সরাসরি ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চরিত্র হারিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়ে ওঠে ব্যাংক লুটেরাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও সহযোগিতার পীঠস্থান।
এস. আলম, বেক্সিমকো, থার্মেক্সসহ বিভিন্ন রাক্ষুসে গ্রুপকে লালন-পালন করার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখেন দ্বাদশ গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে একপ্রকার অলিখিত হুকুমই জারি করে দেন এস. আলম, বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন গ্রুপের চেয়ারম্যানদের ব্যক্তিগত সহকারির সঙ্গে পরামর্শ করে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
এই দুই গভর্নরের দায়িত্বকালে দেশের অর্থনীতির দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ উদ্ধারের প্রত্যক্ষ হাতিয়ারে পরিণত হয়। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বেনামী ঋণ ও এলসির মাধ্যমে পাচার হয় কয়েক লাখ কোটি টাকা। দেশ পড়ে তীব্র ডলার সংকটে, যা সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সীমিত করে দেয়। এই আর্থিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, প্রচ্ছন্ন দারিদ্র্য জেকে বসে পুরো জাতির ঘাড়ে। যার প্রভাবে কোটা আন্দোলনের রেশে জনক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটলে উল্টে যায় শেখ হাসিনার মসনদ।
এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে-বাইরে প্রবল দাবি উঠেছে ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারকে আটক করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানোর, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন গভর্নর ব্যাংক খাতের দানবদের দোসরে পরিণত না হন।
এ প্রসঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি জুমবাংলাকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যেসব গভর্নরের নামে আর্থিক খাতের লুটপাটকারীদের ও অর্থপাচারকারীদের সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা হওয়া উচিত। তাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
চাকরি বিধিমালার কারণে গণমাধ্যমে কথা বলার সুযোগ না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা ও আনুকূল্য ছাড়া বেক্সিমকো, এস. আলম, থার্মেক্সের মতো গ্রুপগুলো ব্যাংক খাত থেকে লুটপাট ও পাচারের এমন ঢালাও সুযোগ পেত না। সবসময়ই ব্যাংক খাতে লুটেরা চক্রের আনাগোনা থাকলেও গত দুই গভর্নরের আমলে বিতর্কিত গ্রুপগুলো প্রাতিষ্ঠানিক আনুকূল্য পেয়েছে। যে কারণে তারা নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে-নগ্নভাবে বড়-বড় জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে। তাই ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এবং তাদের সহযোগিতা ও আনুকূল্যে কিভাবে লুটপাট-পাচার হয়েছে সেগুলো বিশদ তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রচার করতে হবে।’
ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেও নির্বিঘ্নে দিন পার করছেন ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।
ছয় বছর ‘গভর্নরগিরি’ করে ফজলে কবির উচ্চ বেতনে চাকরি করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ইমিরেটাস ফেলো পদে। আর আব্দুর রউফ তালুকদার ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসায় নিশ্চিন্তে-নিরাপদে দিন পার করছেন। সুযোগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি। সেখানে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন তিনি যার প্রক্রিয়া দুই বছর আগেই সম্পন্ন করে রেখেছিলেন।
৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন থেকেই ঢাকার একটি সংরক্ষিত স্থানে অবস্থিত ভাইয়ের বাসায় আছেন তিনি।
ভক্ষকের ভূমিকায় রক্ষক :
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ তখনকার গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। কোনো আলোচনা ছাড়াই এর পরের দিন সাবেক অর্থ-সচিব ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১তম গভর্নর হিসেবে যোগ দেন ফজলে কবির। সেই হিসাবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৯ মার্চ। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩৪ দিন আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ তিন মাস ১৩ দিন বাড়িয়ে দেয় সরকার। যা ওই বছরের ৩ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। ওই সময় এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ফজলে কবির গভর্নর থাকবেন। পরে গভর্নর পদের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ৬৭ বছর করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন সংশোধন করা হয়। ফলে ফজলে কবিরের মেয়াদ ২০২২ সালের ৩ জুলাই পর্যন্ত বেড়ে যায়। হিসাব করলে দেখা যায়, মোট ছয় বছর তিন মাস গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফজলে কবির।
এই পুরোটা সময়ই সরকারের রাজনৈতিক আজ্ঞাবহতা ও ব্যাংক খাতের দুর্বৃত্তদের সঙ্গে সহাবস্থানের নীতি প্রদর্শন করেছেন তিনি। দায়িত্বে থাকাকালে সরকারের কোনো সিদ্ধান্তেই আপত্তি জানাননি। খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা, ঋণখেলাপিদের জন্য বিশেষ সুবিধা, নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, ব্যাংক পরিচালকদের জন্য আইন পরিবর্তন, সুদহার ৯ শতাংশ করাসহ কোনো ক্ষেত্রেই প্রশ্ন তোলেননি ফজলে কবির।
বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিনির্ধারণী সব সিদ্ধান্ত নিজেরাই চূড়ান্ত করে। কিন্তু ফজলে কবিরের সময় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও পাল্টে যায়। কিছু নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত হয় পাঁচ তারকা হোটেলে বসে, কিছু ব্যাংকমালিকদের সঙ্গে নিয়ে বা তাদের আগ্রহে কিংবা সরকারের নির্দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ ছিল শুধু আলোচনার নোট ঠিকঠাক টুকে নেওয়া এবং সে অনুযায়ী নির্দেশনা জারি করা। এমন অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিরল।
এছাড়া দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল, কিস্তি না দিয়েও নিয়মিত থাকার সুযোগসহ অর্থনীতি বিধ্বংসী নানা সিদ্ধান্তের কারণে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রিয়পাত্র ছিলেন গভর্নর ফজলে কবির। তার আমলে ব্যাংক খাতের দীর্ঘদিনের স্বেচ্ছাচারিতা, গুরুতর অনিয়ম ও বিচ্যুতিগুলো সজ্ঞানে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষিত হয়েছে, যা এ খাতের সঙ্কটকে গভীর খাদে নিয়ে গেছে।
ফজলে কবিরের সময়ে গভর্নর সচিবালয়ে চালু হয় ‘সিন্ডিকেট সচিবালয়’ প্রথা। ফাইল স্বাক্ষরের আগেই সংশ্লিষ্টদের কাছে ফোন করে বলা হয় অগ্রগতি ও উৎকোচের কথা। বিশেষ বিশেষ গ্রুপের অনিয়ম উপেক্ষা করা হয়, দেওয়া হয় অনৈতিক সুবিধা। বিভিন্ন গ্রুপের হাতে ‘সন্ত্রাসী কায়দায়’ ব্যাংক দখলের ঘটনায় থাকেন নিরব দর্শকের ভূমিকায়। ব্যাংক খাতের ‘ভক্ষকের’ পাশাপাশি ‘রাতের পাখি’ উপাধিও পান তিনি।
চাকরি বিধিমাল অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত কর্মঘণ্টা হলেও ফজলে কবির বেশির ভাগ সময় কাজ করেছেন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা-৯টা; কোনো কোনো সময় রাত ১০টা পর্যন্ত। সূর্যাস্তের পর অন্ধকার ঘনীভূত হলে তার কার্যালয়ে বাড়তো ব্যাংক লুটেরাদের আনাগোনা।
একই পথে রউফ তালুকদার :
ফজলে কবিরের ধারাবাহিকতায় রউফ তালুকদারেরও পূর্ণ আনুকূল্য পেয়েছে প্রভাবশালী গ্রুপ থেকে নির্বিষ লুটেরা-সবাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কর্মকর্তাই রউফ তালুকদারের অনিয়মের সহযোগী হতে চাননি, সেই পড়েছে রোষাণলে। ডেপুটি গভর্নরদের চাকরি খাওয়ার হুমকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রেডের কর্মকর্তাদের বদলি- সবই করেছেন তিনি। বিভিন্ন বিতর্কিত ব্যবসায়িক গ্রুপকে বেনামী ঋণের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বের করে নিতে সহযোগিতা করাসহ নগদ অর্থের বিনিময়ে ব্যাংক খাতের অপরাধীদের শাস্তি মওকুফ করেছেন রউফ তালুকদার।
এসব প্রকাশ্য ডাকাতির ঘটনা জনগণের কাছ থেকে আড়াল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেন এই স্বেচ্ছাচারী গভর্নর।
অর্থ সচিবের চাকরি ছেড়ে ২০২২ সালের ১২ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর তার দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখলে স্পষ্ট হয়, তিনি মূলতঃ এই দায়িত্বে এসেছিলেন বিভিন্ন ব্যবসায়িক গ্রুপকে ব্যাংক লুটে সহযোগিতা করতে। যে কারণে শেখ হাসিনার সরকার পতনের সাথে সাথে তাকে আশ্রয় নিতে হয়েছে ঢাকার একটি সংরক্ষিত স্থানে।
সাবেক গভর্নর, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক নির্বাহীরা বলেছেন, গভর্নর হওয়ার পর আব্দুর রউফ তালুকদার দলীয় কর্মীর ভূমিকায় ছিলেন। তার গৃহীত অনেক সিদ্ধান্তই ছিল রাজনীতি প্রভাবিত। তিনি চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের ব্যাংকের অর্থ লুটপাটে সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। এ কারণে সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসতে আর সাহস পাননি। বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু নয়, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর এভাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়েছেন কিনা, সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংক খাত সংস্কার, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ ও ডলার সংকট উত্তরণসহ বেশকিছু প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত দুই বছরে তার কোনো প্রতিশ্রুতি কিংবা উদ্যোগই আলোর মুখ দেখেনি। বরং এ সময়ে দেশের ব্যাংক খাতের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতা আরো তীব্র হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুণ্ঠনও বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের ৩১ জুলাই এ রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এর মধ্যে নিট রিজার্ভ রয়েছে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে দায়িত্ব গ্রহণের সময় তথা ২০২২ সালের জুলাইয়ে দেশে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। বর্তমানে প্রতি ডলার ১১৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে পুনঃতফসিলের নীতিমালা ব্যাপক উদার করে দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। আগে পুনঃতফসিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হলেও তিনি এ ক্ষমতা ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেন। এতে ব্যাংকগুলো বাছবিচার ছাড়াই হাজার হাজার কোটি টাকা পুনঃতফসিল করে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের ঋণ খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমেনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষেও দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চে এসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর পুনঃতফসিল, অবলোপন, বেনামি ঋণসহ ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ঋণের পরিমাণ এখন ৬-৭ লাখ কোটি টাকা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।