জুমবাংলা ডেস্ক: প্রাণঘাতি ক’রোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৩০ দিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দেশজুড়ে করোনা মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তাই সংক্রমণ রোধ ও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত ৩০ দিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আবেদন জানিয়েছি।’
এদিকে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোর্ট প্রশাসন।
এছাড়াও সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারসহ বেশি কিছু নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধের কথা ভাবছি না। তবে করোনার সংক্রমণ যদি খুব বেড়ে যায় এবং ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসে যেতে হবে।
মন্ত্রী এদিন আরো বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসব আমরা। তাদের পরামর্শ এবং সাবির্ক অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ৮৫ লাখকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
তাছাড়া মন্ত্রী আরও জানান, শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে যাতে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া যায় সেটার প্রস্তুতি রাখার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয় সেখানে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর নির্ভর করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই বছরের ১৮ মার্চ। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে একই বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় সেই ছুটির মেয়াদ, যা শেষ হয় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।