বিনোদন ডেস্ক : ১৯৯৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল হিন্দি ছবি ‘বীরগতি’। এই ছবিতে সালমান খানের বিপরীতে অভিষেক হয়েছিল অভিনেত্রী পূজা দরওয়ালের। এরপর কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছিলেন, কিন্তু তেমন মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেননি তিনি।
গত বছর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন আর্থিক সাহায্য করেছিল সালমানের প্রতিষ্ঠান ‘বিয়িং হিউম্যান’। সে খবর প্রকাশ করে শিরোনাম হয়েছিলেন পূজা। পুরোপুরি সুস্থ হতে এক বছর লেগেছে পূজার। এখন আবার স্বপ্ন দেখছেন এ অভিনেত্রী।
ইন্ডিয়া টিভি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নিজেকে ‘সারভাইবার’ ভাবতে চান না, নিজেকে ‘বিজয়ী’ ভাবেন। তিনি আরো বলেন, এখন তাঁর একটি ভালো সিনেমা দরকার, একটা রোল দরকার, যাতে প্রমাণ করতে পারেন যে আজও তিনি জীবিত, সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি।
‘আমার একটা কাজ খুব জরুরি। কিচ্ছু চাই না, শুধু ফেরার জন্য একটা সুযোগ চাই,’ বলেন পূজা। আর সেজন্য তিনি অপেক্ষা করতে চান। নিজের জীবন কত যে মূল্যবান তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তিনি।
‘এই ইন্ডাস্ট্রি আমাকে শিখিয়েছে—তুমি নিজের ইচ্ছায় ছেড়ে যেতে পারো, কিন্তু ফিরতে হবে তাঁদের ইচ্ছেয়,’ যোগ করেন পূজা। ৪২ বছর বয়সী পূজা বিনোদন অঙ্গন ছেড়েছেন তা-ও এক দশক হলো। জি টিভির ‘ঘরানা’ ধারাবাহিকে তাঁকে সবশেষ দেখা গেছে।
এরপর নিজের পরিবারের দিকে মনোযোগ দেন, শুরু হয় নতুন অধ্যায়। পূজা জানান, তিনি স্বাভাবিক জীবন চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারে নানা ইস্যু রয়েছে, যেগুলো তাঁকে হতাশায় নিমজ্জিত করেছিল। একসময় তাঁর মনে হয়েছিল, সব হারিয়েছেন তিনি।
শরীর একেবারে ভেঙে পড়ে পূজার। কিন্তু পরিবার তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। তত দিনে তাঁর শরীরে যক্ষ্মা বাসা বাঁধে। ইন্ডাস্ট্রির পুরোনো বন্ধু রাজেন্দ্র সিংকে জানান। তিনি সাহায্যের হাত বাড়ান। ৫২ কেজি থেকে তাঁর ওজন ২৯ কেজিতে নেমে যায়।
২০১৮ সালের মার্চে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন পূজা, সেখানে তাঁকে ছয় মাস থাকতে হয়েছিল। চোখের সামনে নয়জনের মৃত্যু দেখতে হয় তাঁকে। পরে তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসে ‘বিয়িং হিউম্যান’। জীবন ফিরে পান তিনি। আর সে জীবন সালমান খানের কল্যাণে।
‘আমি উনার (সালমান খান) সঙ্গে দেখা করতে চাই, পা ছুঁতে চাই। উনি যদি এগিয়ে না আসতেন, কেউ জানতই না আমার অস্তিত্ব আছে কি না; এমনকি মরে গেলেও কেউ জানত না,’ বলেন পূজা। চিকিৎসা শেষে পূজা গোয়ায় ফিরে যান। ফিরে পান শারীরিক শক্তি।
কিন্তু এখন তাঁর কাজ দরকার। মাথা গোঁজার ঠাঁই দরকার। তাঁর বিশ্বাস, এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবেন। কেউ না কেউ সাহায্যের হাত বাড়াবে। একই সঙ্গে হতাশাও গিলে খাচ্ছে তাঁকে। ‘বীরগতি’ অভিনেত্রী আরো বলেছেন, ‘যেদিন অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল, কথা দিয়েছিলাম অভিনয়টা চালিয়ে যাব।
এখন থেকে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত সেটা করতে চাই।’ নির্মাতা-প্রযোজকেরা নিশ্চয়ই কেউ এগিয়ে আসবেন, এ আশা বি-টাউনের অনুরাগীদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।