বিনোদন ডেস্ক: শুধু ইন্ড্রাস্ট্রি নয় পরিচিত মানুষদের কাছে ঠোঁটকাটা বলে ভালই নাম রয়েছে। বিতর্কও কম নয়। জলও ঘোলা কত হয়নি। তবে পূজা ভাট নাকি নিজের মনের কথাই বলেন এবং তা অকপটেই বলেন কাউকে তোয়াক্কা না করেই। বলিউডের অন্দরের অনেকেই নাকি এ কথা স্বীকার করেন।
ফিল্মে অভিনয় শুরু মাত্র ১৭ বছর বয়সে। বাবা মহেশ ভাটের পরিচালনায় টেলিভিশন ফিল্ম ‘ড্যাডি’। মদ্যপ আনন্দ সরিনের চরিত্রে অনুপম খের। তার মেয়ের ভূমিকায় পূজা। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে ১৯৮৯ সালের সে ফিল্মে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন অনুপম। নজর কেড়েছিলেন পূজাও।
‘ড্যাডি’-র বছর দুয়েক পরই বলিউডে বড়সড় হিট এসেছিল মহেশ-কন্যার। আমির খানের সঙ্গে ‘দিল হ্যায় কি মানতা নাহি’। এবারও বাবার পরিচালনা। আরপাঁচটা বলিউড নায়িকার মতোই নাচ-গান এবং নায়কের সঙ্গে রোম্যান্স। তবে তার মাঝেও পর্দায় একটু ‘আলাদা’ মনে হয়েছিল পূজাকে। ঝাঁকড়া চুলের মেয়েটি যে পর্দার বাইরেও বেশ পরিণত, তা বোঝা গিয়েছিল তার বহু সাক্ষাৎকারে। আরও একটি বিষয়ে মনে হয়েছিল অনেকের। এ মেয়ে কাউকে তেমন একটা পরোয়া করে না!
ব্যক্তিগত জীবনে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন পূজা। প্রেমের সম্পর্কে বোধহয় তার থেকেও বেশি পড়েছেন। তবে একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও ২০০৩ সালে বিয়ে করেন ভিজে তথা রেস্তরাঁ-মালিক মণীশ মাখিজাকে। যদিও বিয়ের ১১ বছর পর সে সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন পূজা।
ববি দেওল, ফারদিন খান এবং রণবীর শৌরি… মণীশের সঙ্গে বিয়ের আগেই একাধিক তারকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে পূজার। প্রতিটি সম্পর্ক নিয়েই খুল্লামখুল্লা তিনি। যদিও এত নামের ভিড়ে পেজ থ্রি-র পাতায় একটি নাম আজ চাপা পড়ে গিয়েছে। সালমান খানের অভিনেতা-পরিচালক ভাই সোহেল খান।
হ্যাঁ! এক সময় সোহেলের সঙ্গে ঘরবাঁধার কথাও ভেবেছিলেন পূজা। ১৯৯৫ সালে একটি ফিল্মি পত্রিকায় সেকথা নিজেই স্বীকার করেছেন। সে সময় তা নিয়ে বিস্তর চর্চাও হয়েছিল বলিউডে।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় বছর পাঁচেক ধরে পূজা-সোহেলের সম্পর্কের গুঞ্জনে মেতেছিল বলিউড। সীমা খানের সঙ্গে বিয়ের আগে নাকি পূজাকে নিয়ে সিরিয়াসও ছিলেন সোহেল।
ওই ফিল্মি পত্রিকায় সোহেলের সঙ্গে সম্পর্ক-বিয়ের পরিকল্পনা ছাড়াও সালমান এবং তার পরিবার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পূজা। তিনি বলেছেন, “সোহেলের সঙ্গে তো বটেই। তার পরিবারের সকলের সঙ্গেই সহজ সম্পর্ক। তাতে কোনও জটিলতা নেই। ওঁরা যে কী মিশুক… মনে হয় আমি ওই পরিবারের একজন।”
সোহেলের পরিবারের সকলের প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন পূজা। তার কারণও বলেছেন তিনি। পূজার কথায়, “আমি যেমন, সেভাবেই আমাকে মেনে নিয়েছিল ওঁরা। ঠিক যেন আমার নিজের পরিবার!”
সালমান-সোহেলের বাবা চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ৪৯ বছরের তারকা। “সোহেলের বাবার বড় ভক্ত আমি। আরবাজের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ওঁকেও খুব ভাল লাগে। বেবি (সালমানের বোন আলভিরা খান)-ও দারুণ। সকলেই খুব মেলামেশা করতে পারেন।”
সালমান খানের সঙ্গে পূজার ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চলছে বলেও রটনা ছিল। তবে সেসব যে সত্যি নয়, তা দাবি করেছিলেন পূজা। এ প্রসঙ্গে পূজার সাফ জবাব, “হ্যাঁ, কোনও এক আজব কারণে আমি বা সালমান কেউ পরস্পরকে পছন্দ করতাম না। তবে সেটা গোড়ার দিকে। সেটাই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলা হয়েছিল যে আমাদের মধ্যে ‘যুদ্ধ’ চলছে। সালমানে সঙ্গে ‘লাভ’ নাকি একটা নামের ফিল্ম করার কথা থাকলেও তা করিনি। হতে পারে, সেজন্যই সেসব রটেছিল। তবে আজকাল আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। আমার সুখী পরিবার।”
সোহেলের সঙ্গে যে তার সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে পারে, তা-ও বলেছিলেন। পূজার কথায়, “বিয়ের কথা অবশ্যই মাথায় রয়েছে। তবে সোহেল তো সবে পরিচালনা শুরু করেছে। আমি আর বছর দুয়েক কাজ করতে চাই। তারপর এসব ভাবা যাবে। হ্যাঁ! ভবিষ্যতে দু’জনে একসঙ্গে থাকতে চাই।”
এই সাক্ষাৎকারের প্রায় তিন বছরের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল পূজা-সোহেলের। ১৯৯৮ সালে সীমা খানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন সোহেল। অন্যদিকে, ২০০৩ সালে মণীশ মাখিজাকে বিয়ে করেন পূজা।
যদিও দু’জনের কারও সম্পর্কই টেকেনি। সোহেল আজকাল সীমার থেকে আলাদা থাকেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মণীশের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন পূজা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।