জুমবাংলা ডেস্ক : অস্ত্র আইনের একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমকে। করোনা টেস্ট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার সাহেদ মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছে আদালত। এজন্য সাহেদ করিম কোনো অনুকম্পা পেতে পারেন না বলে মন্তব্য আদালতের।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
বিচারক রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘আমার কাছে খুবই আশ্চর্যের বিষয় হলো, মামলাটি চলার সময়ে সাহেদ আদালতকে বলেন, ‘এই গাড়ি আমার না, এই গাড়ি আমি চিনি না’। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জানতে পারলাম ২০ লাখ টাকা কিস্তিতে গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। এই ব্যাপারে একবারের জন্যও তার আইনজীবীরা কথা বলেন না। এটা খুবই অবাক করার কথা। তাই জানা সত্ত্বেও আদালতের কাছে সাহেদের মিথ্যা তথ্য দেয়া ও অস্ত্র গাড়িতে রাখার বিষয়টি প্রমাণিত হাওয়ায় সে কোনো অনুকম্পা পেতে পারে না।’
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, ‘আমাদের এই সমাজে সাহেদের মতো আরও ভদ্রবেশী লোক রয়েছে। এই মামলায় রায় যাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অস্ত্র আইনে তাকে দুটি ধারায় কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একটি ধারায় মোহাম্মদ সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর অন্য একটি ধারায় দেয়া হয় সাত বছরে সশ্রম কারাদণ্ড।
সাহেদের আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। তিনি বলেছেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এদিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহেদকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাইনি। আমি হাইকোর্টে আপিল করব। আমি এটার সাথে জড়িত না।’
করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় জালিয়াতি, প্রতারণা ও অনিয়মের বহুল আলোচিত ঘটনায় বেশ কটি মামলা হয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে প্রথম রায় হলো অস্ত্র আইনের মামলায়।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে সাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।
মামলার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা করা হয়।
প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।