জুমবাংলা ডেস্ক : সিআইডি ইন্সপেক্টর সেজে এক তরুণীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে মেহেদী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার ক্রাইম বিভাগ। তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত সিল, বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো চিঠির কপি, ৫টি ফেক ফেসবুক আইডি, বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সিআইডি বলছে, নির্যাতন মামলা প্রমাণ করার জন্য তরুণীর কাছ থেকে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নেয়। সরল বিশ্বাসে ভুক্তভোগী তরুণী সিআইডি অফিসার ভেবে একান্ত গোপনীয় ফুটেজ শেয়ার করে। ফুটেজ পেয়েই প্রতারক মেহেদী কাজের বিনিময়ে মেয়েটির কাছে দুই লাখ টাকা এবং রাত যাপনের অফার দেয়।
বুধবার রাতে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের সূত্র ধরে এক নারীকে টার্গেট করে সে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই রিপোর্টারের কাছ থেকে নারীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর কামরুল ছদ্মনামে নারীকে ফোন দেয় মেহেদী। নিজেকে সিআইডি সাইবার এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দেয়। মামলায় যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বাদীর কাছে আবির্ভূত হয় ত্রাতা হিসাবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ হোসেন বলেন, মামলার আসামিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের ভয়ভীতি দেখায় সে। আসামিকে মাদকের অন্য একটি মামলা দিতে হবে বলে বাদীকে হোয়াটসআ্যাপে অভিযোগের একটি ড্রাফট পাঠায়। এ জন্য ৫ হাজার টাকাও নেয় সে। আরেকজনকে ভুয়া এসপি সাজায় সে। তাকে দিয়ে বাদীর সঙ্গে কথা বলায়। এতসব কার্যক্রম এবং যোগাযোগে বাদীর বিশ্বস্ততা অর্জন করে সে।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, নির্যাতন মামলা প্রমাণ করার জন্য বাদীর কাছ থেকে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নেয়। সরল বিশ্বাসে বাদী সিআইডি অফিসার ভেবে একান্ত গোপনীয় ফুটেজ শেয়ার করে। ফুটেজ পেয়েই প্রতারকের কথাবার্তা পাল্টে যায়। প্রতারক মেহেদী এ কাজের বিনিময়ে মেয়েটির কাছে দু’লাখ টাকা এবং রাত যাপনের অফার দেয়। তরুণী অবশেষে বুঝতে পারে সে প্রতারকের পাল্লায় পড়েছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও জানান, উপায়ন্তর না দেখে ওই নারী মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে আসে। ইন্সপেক্টর মেহেদী নামের কাউকে খুঁজে পায় না সে। সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টার বিষয়টি অনুসন্ধান করে। আসামিকে শনাক্ত করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাইবার টিমের অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার এ অপরাধে সংশ্লিষ্টতার সকল প্রমাণ পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
ডিজিটাল আলামতের সূত্র ধরে জানা যায়, দীর্ঘদিন সে নিজেকে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নানাজনের সঙ্গে বিশেষ করে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। কখনও সে নিজেকে ডিজিএফআই’র কর্মকর্তা বলেও অনলাইনে পরিচয় দিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।