অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের একদল বিজ্ঞানী ক্যামেরা এবং কিছু টোপ ব্যবহার করে সমুদ্রে রেকর্ড করা গভীরতম মাছ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। দলটি সমুদ্রের পৃষ্ঠের 27,349 ফুট গভীরতায় সিউডোলিপারিস জিনাস এর একটি অজানা প্রজাতির শামুকের ছবি ধারণ করেছে। দলটি উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের তিনটি গভীর পরিখা অন্বেষণ করতে 2022 সালের আগস্ট মাসে দুই মাসের অভিযান শুরু করে। রিউকিউ ট্রেঞ্চ, জাপান ট্রেঞ্চ এবং ইজু-ওগাসাওয়ারা ট্রেঞ্চ এ অভিযান চালানো হয়। গবেষণাটি ১০ বছর ধরে গভীর সমুদ্রের মাছের জনসংখ্যা নিয়ে করা হয়েছিল।
ছোট মাছটি জাপানের দক্ষিণে ইজু-ওগাসাওয়ারা ট্রেঞ্চের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। মারিয়ানা ট্রেঞ্চে ২০১৭ সালে 26,830 ফুট গভীরতায় মারিয়ানা শামুক পাওয়া গিয়েছিলো। কয়েকদিন পরে, দলটি জাপান ট্রেঞ্চে 26,318 মিটার গভীরতায় দুটি মাছ সংগ্রহ করে।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী অ্যালান জেমিসন 2017 সালে আগের রেকর্ডটি আবিষ্কার করেছিলেন ও বলেছিলেন যে, “জাপানি ট্রেঞ্চগুলি অন্বেষণ করার জন্য বেশ ভালো জায়গা ছিল। এসব মাছ সর্বাধিক গভীরতায় বেঁচে থাকতে পারে তা সত্যিই বিস্ময়কর লেগেছে।” মারিয়ানা ট্রেঞ্চের মতো অন্যান্য পরিখাতেও এই শামুক মাছগুলিকে ক্রমবর্ধমান গভীর গভীরতায় পাওয়া গেছে। তবে জাপানের আশেপাশে তাদের জনসংখ্যা আরোও বেশি।
এই গভীরতায় বসবাসকারী মাছের বিশাল ও “কিছুটা প্রাণবন্ত” জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, গবেষকরা সিউডোলিপারিস প্রজাতির তরুন মাছ খুজে পেয়েছিলো। বেশিরভাগ অল্পবয়সী শামুক মাছ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে বেশি গভীরতায় বসবাস করতে দেখা যায়। তবে অন্যান্য গভীর সমুদ্রের মাছে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। জেমিসন ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, বড় আকারের মাছের শিকারের হাত থেকে বাচার জন্য এমনটি হতে পারে। আপনি যখন ৮ হাজারের মিটার বা ২৬ হাজার ফুট গভীরতায় চলে যাবেন তখন মাছের আকার আরও ছোট হতে থাকবে। তাদের অনেক মাছ দেখতে একেবারেই ছোট মনে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।