আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) কার্যকর করা হলে অভিবাসীদের সীমান্তের এপারে পাঠানো হবে না, এ বিষয়ে মোদি সরকারের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস চেয়েছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এ তথ্য জানায়।
সংবাদ মাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে বলে, ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) ইস্যুতে নয়াদিল্লির প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক ‘নমনীয়’ অবস্থান ঘিরে সমালোচনার জন্য এমন পদেক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য প্রিন্টকে জানায়, আসামে এনআরসি বাস্তবায়নের পর গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একই ধরনের একটি দাবি জানানো হয়েছিল। এ সময় ভারত বাংলাদেশকে মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিল যে আসামে এনআরসি’র অধীনে ‘বিদেশি’ শনাক্তকারীদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে না। সে সময় লিখিত আশ্বাস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামে এনআরসি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে ভারতীয় পার্লামেন্টে ‘সিএএ’ পাস হওয়ার পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে নতুন উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে যে, ভারত এখন এই আইনের অধীনে অবৈধ বলে বিবেচিত মুসলিম অভিবাসীদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করতে পারে। এখন সুপ্রিম কোর্টের বাধ্যবাধকতা না থাকায় লিখিত দেয়া সহজ হবে বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করছে; এমনটাই জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। তবে ভারত এখনও এমন কোনো আশ্বাস বাংলাদেশকে দিয়েছে কিংবা দিতে সম্মত হয়েছে, এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
এনআরসি নিয়ে ভারতজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন চললেও দেশটির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনটিতে বিজিবি প্রধান শাফিনুল ইসলামের সঙ্গে রোববার দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়, ওই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান এনআরসি সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেন বলেও উল্লেখ করে গণমাধ্যমটি। তবে সিএএ নিয়ে বিজিবি প্রধান কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানায় তারা।
দ্য প্রিন্ট উল্লেখ করে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার পরও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন ভারত থেকে কোনো নিশ্চয়তা আনতে পারছেন না, সেটি নিয়ে বিরোধীদের কাছে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। তবে গেল নভেম্বরে বেঙ্গালুরু থেকে ৬০ অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কলকাতা নিয়ে আসার পর থেকে এই অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়েছে বলে মনে করছে ভারতীয় ওই গণমাধ্যমটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।