জুমবাংলা ডেস্ক : সিঙ্গাপুরে প্রায় অর্ধেক অভিবাসী শ্রমিক গত নয় মাসে কোনও এক সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার গ্রুপ। ‘ট্রানজিন্ট ওয়ার্কারস কাউন্ট টু’র (টিডব্লিউসি২) নামক এনজিওর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ মাসে প্রায় এক লাখ ৫২ হাজার বিদেশি শ্রমিক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। যা মোট বিদেশি শ্রমিকের প্রায় ৪৭ শতাংশ।
বিবিসি জানায়, গত অগাস্ট থেকে সিঙ্গাপুরে বিদেশি শ্রমিকদের দুই ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। একটি হলো সাধারণ পিসিআর করোনোভাইরাস টেস্ট। যার মাধ্যমে দেখা হয়েছে, ওই ব্যক্তি বর্তমানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কিনা। আরেকটি হল অ্যান্টিবডি টেস্ট। যার মাধ্যমে দেখা হয়েছে, ওই ব্যক্তি আগে কখনও কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা।
পিসিআর টেস্টে প্রায় সাড়ে ৫৪ হাজার শ্রমিকের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকার আগেই এ তথ্য প্রকাশ করেছে। আর অ্যান্টিবডি টেস্টে দেখে গেছে, প্রায় ৯৮ হাজার শ্রমিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবার এই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অগাস্ট থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে যত শ্রমিক আছেন তাদের সবাইকে অন্তত একবার পরীক্ষা করা হয়েছে। কারও কারও বেলায় উভয় ধরনের পরীক্ষাই হয়েছে।
তার মধ্যে যাদের ফল ‘পজিটিভ’এসেছে তাদের এবং যাদের আগে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের সবাইকেই আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাদের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা সেবা এবং অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দুই ধরনের মিলিয়ে মোট শ্রমিক এক লাখ ৫২ হাজারের মত। দেশটিতে নানা ডরমেটরিতে প্রায় তিন লাখ ২৩ হাজার শ্রমিক বাস করে। তাদের মধ্যে এখনও প্রায় ৬৫ হাজার শ্রমিকের অ্যান্টিবডি টেস্টের ফল হাতে পাওয়া বাকি আছে। অর্থাৎ, আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
টিডব্লিউসি২-র ভাইস প্রেসিডেন্ট আউ বলেন, ‘নতুন এই সংখ্যা আমাদের অবাক করেনি। কারণ, বছরের মাঝামাঝিতে যেসব শ্রমিক ‘পজিটিভ’ হয়েছিলেন তারা আমাদের বলেছেন, কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ নিজ রুমে থাকতে বলেছে। তাদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়নি। তারা তাদের রুমমেটদের সঙ্গেই ছিল। কিন্তু ওটা এখন ইতিহাস। এখন আমাদের মূল উদ্বেগ এখানে বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে। সিঙ্গাপুর এখনও শ্রমিকদের সঙ্গে কারাবন্দিদের মত আচরণ করছে। অথচ গত অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অনেকদিন ধরেই ডরমেটরিগুলোতে কোনও নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই সক্রিয় সংক্রমণের হার এখন প্রায় শূন্য হয় এবং প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর অন্তর শ্রমিকদের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়, তবে তাদের উপর এত কড়াকড়ি আরোপের ‘কোনও দরকার তো দেখছি না’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।