জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে বিচারকের চেয়ার ছেড়ে খাস কামরায় চলে গেছেন। আসামিদের তোলা হয়েছে পুলিশ ভ্যানে।
জনাকীর্ণ এজলাস মুহূর্তেই খালি হয়ে গেছে। তবে তখনও এজলাস কক্ষ বসে ছিলেন মেজর (অব.) সিনহা মো.রাশেদ খান হ ত্যা মামলার বাদী ও নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম।
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শারমিন শাহারিয়ার ফেরদৌস জানান, তিনি রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। বললেন, ‘আশা ছিল সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। কিন্তু রায়ে তার প্রতিফলন ঘটেনি। এখন যাদের মৃতু্যদণ্ড হয়েছে তাদের রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্ট হওয়া যাবে।’ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘রায়ের কপি আমরা সংগ্রহ করব। বিচার বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহণ করব।’ রায়ে রাষ্টÌপক্ষও সন্তুষ্ট নন। এ বিষয়ে রাষ্টÌপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর পর্যবেক্ষণ করে আমরা খালাসপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আপিল করব।’
এদিকে সিনহার মা নাসিমা আকতার কক্সবাজার গেলেও রায় শুনতে আদালতে যাননি। এ প্রসঙ্গে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘নিহতের মা বৃদ্ধ মানুষ। তিনি হোটেলে অবস্হান করছেন। তাকে রায় শোনানো হয়েছে। তবে তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট নন।’
আরও পড়ুন :
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।